সোশ্যাল মিডিয়া ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০৩:০৪

ইস্যু মোতাহার হোসেন রানা; বিভ্রান্তি ও সত্য

"মোতাহার হোসেন রানা

দক্ষ সংগঠক, সাহসী মুজিব সৈনিক, পরিশ্রমী ছাত্রনেতা এবং সুবক্তা ছিলেন।

আশির দশকের শেষ দিকে চট্টগ্রামের মীরশ্বরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে পড়েছেন।

কবি জসিমউদ্দিন হল ছাত্রসংসদে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কবি জসিমউদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় যোদ্ধা।

১৯৯২ সালের ১১মে গঠিত ৬৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সদস্য হয়েছিলেন।

কপাল খারাপ!

১৯৯৩ সালে মীরশ্বরাইতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। ট্রাকের ধাক্কায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। মাথা থেতলে যায়, মস্তিস্ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তৎকালীন পিজি হাসপাতালের বিখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক রশিদ উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা হয়। অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া তখন জুনিয়র নিউরোসার্জন হিসেবে দেখভাল করেন।
মৃতপ্রায় রানা ভাই চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় কোনরকম বেঁচে থাকার সুযোগ পান।
যে সমস্যায় ভুগছেন রানা ভাই, এটার এরচেয়ে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা আর নাই বলেই তখন রায় দিয়েছিল চিকিৎসক।

সেই থেকে রানা ভাই অসুস্থ ও কষ্ট ভোগ করছেন।
অসম সাহসী লোকটি নিভৃত জীবন যাপন করছেন। গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানলাম, সম্ভবত ২০০৩ সাল থেকে ধানমন্ডি ৩/এ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অফিশিয়াল কাজে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু রানা ভাইয়ের শরীর সাপোর্ট না করায় আবার গ্রামে ফিরে গেছেন। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যার সহায়তা পেয়েছেন বরাবরই।

২০০৮ সালের পরে বঙ্গবন্ধু কন্যার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মানবতার জননী বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর অপার স্নেহে রানা ভাইকে একটি চাকুরির ব্যবস্থা করে দেন। সেই থেকে রানা ভাই নিয়মিত চাকুরির সুবিধাও পান।

আমাদের প্রত্যাশা রানা ভাইদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের সেই স্বপ্নকে অধরাই রেখে দেয়!

বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর একজন কর্মীর জন্য হাত বাড়িয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি।

আমি বিশ্বাস করি রানা ভাই কখনো কারো করুণা চান নি। তাঁর অতীত সংগ্রামী বিচরণকাল সাক্ষ্য দেয় তিনি লড়াকু।

তবে হ্যাঁ, রানা ভাই এই বেঁচে থাকাকে অর্থবহ ও আনন্দময় করতে আমাদের আরো সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল। যাদের সুযোগ ছিল ও আছে, তারা এমন কিছু করতে পারতেন ও পারেন; যাতে রানা ভাইয়ের জীবন গতিময় ও প্রাণময় হয়। এটুকুই প্রত্যাশা করা করি।

বিদ্র: মোতাহার হোসেন রানা ভাই যে কমিটির সদস্য ছিলেন, সেই কমিটির প্রায় প্রত্যেকেই এখন জাতীয়ভাবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত নেতা।"

-মিলন পাঠানের স্ট্যাটাস হতে প্রাপ্ত