অর্থ ও বাণিজ্য ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:৩২

চট্টগ্রামে কমেছে পেঁয়াজের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট ।। 

চট্টগ্রাম মহানগরীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে খুচরা বাজারের তুলনায় পাইকারি বাজারে দাম বেশি কমেছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম খুচরা বাজারে কমেছে ১০-১৫ টাকা এবং পাইকারি বাজারে কমেছে ৯০-১০০ টাকা।

নগরীর কাজির দেউরি, চৌমুহনী খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ভালো মানের প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। কিছুটা খারাপ মানেরগুলো ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহের শেষের দিকে ভালো মানের পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ২১০-২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর খারাপ মানেরগুলো বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৯০টাকায়।

কাজির দেউরি বাজারের মুদি দোকানদার জাহাঙ্গীব আলম বলেন, ‘বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চিন ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়।’

পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, পাইকারিতে মিয়ানমারের প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। চিনের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৯০-১০০ টাকায় এবং মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। তবে মিয়ানমারের ভালো মানের পেঁয়াজগুলো দুই-এক দিন আগেও ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

খাতুনগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক আবুল বশর বলেন, ‘দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ বিক্রি অনেক কমে গেছে। খাতুনগঞ্জ এখন প্রায় ক্রেতাশূন্য। এখন পাইকারিতে ৯০-১১৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।’

পাইকারিতে দাম কমে যাওয়ার পরও খুচরায় বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে মুদি দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা এখন যে পেঁয়াজগুলো বিক্রি করছি। এগুলো গত সপ্তাহে বাড়তি দামে কেনা। এখন কম দামে বিক্রি করলে ক্ষতির সম্মুখীন হবো। তাই খুচরায় এখনও দাম কমেনি। কাল-পরশুর মধ্যে খুচরা বাজারেও দাম কমে যাবে।’

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘গত দুদিন ধরে বাজারে বেচাকেনা কমে গেছে। আড়তের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। অন্যদিকে, চিন ও মিশর থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। খাতুগঞ্জে এখন প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট ট্রাকে ৮০ থেকে ১০০ টন পেঁয়াজ আসছে। বিপরীতে আট থেকে ১০ টন বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে আড়তে পেঁয়াজের মজুদ বাড়ছে।’

মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার পথে পচে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে পেঁয়াজের মজুদ কমে গেছে। এখন যেসব পেঁয়াজ আসছে এগুলোর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পচা। চিন ও মিশর থেকে বড় ধরনের চালান না এলে বাজারে দাম স্থিতিশীল হবে না।’