অর্থ ও বাণিজ্য ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:২৯

না জানি ৩০০ টাকা হয় পেঁয়াজের দাম, আতঙ্কে ক্রেতারা

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

সেঞ্চুরি অনেক আগেই করেছে, সম্প্রতি করেছে ডাবল সেঞ্চুরি। অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার দেশের কোথাও কোথাও আড়াইশ’ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। বলছি পিয়াজের কথা।

জানা গেছে, দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। অন্যদিকে, রংপুরে খোলা বাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। আর গ্রামাঞ্চলের হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। পিয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেশি দেশ ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই দেশের পিয়াজের বাজারে চলছে এই অস্থিরতা। ক্রেতাদের আশঙ্কা, যেভাবে দাম বাড়ছে, তাতে অচিরেই পিয়াজের দাম ৩০০ ছাড়াতে পারে।
ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকলে আমাদের তো পিয়াজের ব্যবহারই বাদ দিতে হবে।

তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের বেশি দামে কিনতে হয় বলে বাধ্য হয়েই আমরা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

আর পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত ছাড়া অন্য দেশ থেকে যেসব পিয়াজ আনা হচ্ছে তাতে খরচ পড়ে যাচ্ছে অনেক বেশি। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিভাগীয় নগরী রংপুরের সিটি বাজারের পার্শ্বে নিউ জুম্মপাড়ায় সব্জির পাইকারী বাজারে ঘুরে এবং আড়তদার দের সাথে কথা বলে জানা গেছে পিয়াজের আমদানি কম, তার উপর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ আড়তে পিয়াজের দাম বেশি। তারপরেও চাহিদা অনুযায়ী তারা সরবরাহ করতে না পারায় সংকট দেখা দিয়েছে।

আড়তদার সবজি ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, তারা সরাসরি চট্টগ্রাম থেকে পিয়াজ নিয়ে আসেন। মোকামেই পিয়াজের দাম পড়ছে ১৮০ থেকে ২শ টাকা কেজি ফলে সেখান থেকে রংপুরে আনতে গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ পড়ে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা ফলে তার পাইকারী বিক্রি করছেন ২২০ টাকা কেজি।

অপর আড়তদার মোকসেদ আলী জানান, পিয়াজের দাম মোকামেই বেশি হওয়ায় তাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে ফলে দাম বেড়েছে।

তিনি জানান, পিয়াজের আমদানি বৃদ্ধি না পেলে ৩শ টাকার উপরে পিয়াজের দাম উঠবে বলে জানালেন তিনি।

এদিকে, পিয়াজের বাজারের এই অস্থিরতা থামাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশে পিয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রবিবার থেকে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো উড়োজাহাজে করে পিয়াজ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারিভাবে টিসিবি'র মাধ্যমে সরাসরি তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই পিয়াজ আনবে।

প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পিয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এছাড়া সমুদ্র পথে আমদানিকৃত পিয়াজ বাংলাদেশের পথে রয়েছে, যা অতি শিগগিরই পিয়াজের বড় চালান বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।

শুক্রবার বিকালে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন জানান, যতদিন পর্যন্ত বাজার স্বাভাবিক না হবে, ততদিন এয়ার কারগোতে পিয়াজ আমদানি করা হবে।