অর্থ ও বাণিজ্য ১১ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:০৪

অনলাইনে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে বেড়েছে জবাবদিহিতা

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

আগের চেয়ে বেশি ট্যাক্স কাটা সত্বেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসেই জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার ৪শ' ২১ কোটি টাকার। সঞ্চয়পত্র বিক্রির এই ধারা অব্যাহত থাকলে সময়ের আগেই অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্য পেরিয়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সঞ্চয় অধিদপ্তর মনে করে, শতভাগ অনলাইন হয়ে যাওয়া সঞ্চয়পত্র সীমার বেশি ও বেনামে কেনা বন্ধসহ জবাবদিহিতা বেড়েছে।

সঞ্চয়পত্রের ওপর উৎসে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের জন্য মানতে হচ্ছে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার বিধান।

সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার ৪শ' ২১ কোটি টাকার। একই সময়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ৪ হাজার ৬শ' ৯৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে একটি বড় অংশ বিক্রি হয়েছে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ. কে. এম. সাজেদুর রহমান খান জানান, '১২০টি শাখার মাধ্যমে আমরা ১লা জুলাই ২০১৯ সাল থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ২হাজার কোটি টাকার ওপরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছি।'

চলতি অর্থবছর থেকে শুরু হয়েছে  সঞ্চয়পত্র শতভাগ অনলাইন কেনাবেচা। ফলে এখাতে বিনিয়োগের ভোগান্তি নেমেছে প্রায় শুন্যের কোঠায়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে মহাপরিচালক শামছুন্নাহার বেগম জানান, 'নামে বেনামে কেনার কোন সুযোগ নাই যেহেতু আমরা ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার করছি। আগে যে অনিয়ম হতো সেগুলোর আর কোন সুযোগ নেই।'

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতিপূরণে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ২৭ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে বিক্রির এই ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই এ লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।