দুর্যোগ ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:৩৫

বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী ৪ ঘূর্ণিঝড়

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই ঘূর্ণিঝড় প্রবণ অঞ্চল বাংলাদেশ। সত্তরের ঝড় কেড়ে নিয়েছিলো অন্তত ৫ লাখ মানুষের প্রাণ। একানব্বইয়ের জলোচ্ছ্বাসে মৃত্যু হয় এক লাখ ৩৮ হাজার জনের। এরপর বেশকিছু ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও হতাহতের সংখ্যা দিন দিন কমে এসেছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে বিশ্ব পরিসংখ্যানে এখনো উল্লেখযোগ্য স্থানে আছে বাংলাদেশ।

ঘূর্ণিঝড় ভোলা। এ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঝড়। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর এ ঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত ৩৬ লাখ মানুষ। প্রাণ হারান ৫ লাখের বেশি। বিধ্বস্ত হয় চার লাখের বেশি ঘর-বাড়ি ও সাড়ে তিন হাজারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২২ কিলোমিটার।

এর ২১ বছর পর ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল হানা দেয় ঘূর্ণিঝড় ম্যারি এন। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা এ ঝড়ে, ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস কেড়ে নেয় এক লাখ ৩৮ হাজার প্রাণ। নিঃস্ব হয় প্রায় এক কোটি মানুষ।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর হানা দেয় ঘূর্ণিঝড় সিডর। মারা যান ৩ হাজার ৩শ ৪৭ জন। নিখোঁজ অন্তত এক হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২০ লাখ পরিবার। উপকূল ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩০ জেলায় ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে এই ঝড়। এতে নষ্ট হয় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ।

এর দুই বছর পর আসে আইলা। ২০০৯ সালের ২৫ মে, উপকূলীয় অঞ্চলে এর আঘাতে প্রাণ হারান ১৯০ জন। বিধ্বস্ত হয় ৩০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি, ভেসে যায় মাছের ঘের ও জমির ফসল।

এছাড়া কোমেন, মোরা, মহাসেন মতো আরো কিছু ঝড় উপকূলে আঘাত হানলেও বড় ক্ষতির কারণ হয়নি। সবশেষ চলতি বছর মে মাসে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূলে আঘাত হানার আগেই দুর্বল হয়ে পড়ে।