সারাদেশ ১ জুন, ২০২৩ ০৫:৪৪

গুলিবিদ্ধ শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু, প্রধানমন্ত্রীর শোক 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় সন্ত্রসীদের গুলিতে আহত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান মারা গেছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩১ মে) বিকেলে তিনি মারা যান। হারুনুর রশিদের মৃত্যুতে শোক প্রাকশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এর আগে, তিন মাস আগে এই সন্ত্রসীদের হামলার শিকার হন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্ট্যার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মুহসিন নাজির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, হারুনুর রশীদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিবপুর-ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন তার কর্মী সমর্থকরা। তারা শিবপুর কলেজ গেট এলাকায় দোকানপাট ও বাসষ্ট্যান্ডে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। 

শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল বলেন, হারুনুর রশিদ খানের লাশ এখনো এভারকেয়ার হাসপাতালেই রয়েছে। পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্তের পর লাশ শিবপুরে আনা হবে। যতোটুকু জানতে পেরেছি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

শিবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, হারুন অর রশিদ খান শিবপুর আওয়ামী লীগের সিংহ পুরুষ ছিলেন। তার মত সাংগঠনিক ও দক্ষ লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার মৃত্যুতে শিবপুর আওয়ামী লীগে শূন্যতা সৃষ্ঠি হলো।  তিনি আরো বলেন, গুলি করার পর সাময়িক সুস্থ হলেও এই ধকল তিনি আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি। 

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে শিবপুর থানা সংলগ্ন নিজ বাড়িতে ঢুকে হারুনুর রশীদ খানকে গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি ভারতে চিকিৎসা নেন। ভারত থেকে ফেরার পর তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সর্বশেষ তিনি কোমায় চলে যান।  আজ বিকেলে তিনি মারা যান।

হারুণ খানকে গুলি করে হত্যা চেষ্ঠার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা করেন উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খাঁন তাপস। ওই ঘটনায় পুলিশ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।  

আমাদেরকাগজ/এমটি