জাতীয় ৩১ মে, ২০২৩ ০৭:৪১

জ্বালানি তেলে সরকার ভর্তুকি দেয় না: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্বালানি তেলে সরকার বর্তমানে সরাসরি কোনো ভর্তুকি দেয় না বলে জানিয়েছেন বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বুধবার (৩১ মে) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব ধরণের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করার পরও ওই অর্থবছরে বিপিসি প্রায় ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার লোকসান দিয়েছে। কিন্তু বিপিসি সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নেয়নি। বরং পূর্বের মুনাফা থেকে এ লোকসান বহন করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকায় ২০২২-২৩ অর্থবছরেও বিপিসির লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। এ অর্থবছরেও বিপিসি সরকার থেকে ভর্তুকি নেয়নি। পূর্বের মুনাফা থেকে লোকসান বহন করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি চালু হওয়ার পর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত সব ধরণের ট্যাক্স দিয়ে সরকারি কোষাগারে ৩ হাজার ৫১৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা জমা হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৭ কোটি ৮৯ লাখ লাখ নয় হাজার টাকা মুনাফা করেছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা বেশি। ওই অর্থবছরে সরকারের মুনাফা অর্জন করেছিল ৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

নসরুল হামিদ বলেন, দেশের গ্যাস চাহিদা মেটানোর জন্য এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০-এর আলোকে কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি স্থাপন করা হয়। এক্ষেত্রে সরকার বা পেট্রোবাংলার কোনো অর্থ খরচ হয়নি। তবে এলএনজি ব্যবহারের জন্য পেট্রোবাংলা নির্ধারিত ফি দিচ্ছে। আগামী ১৫ বছর পর এলএনজি টার্মিনাল দুটির মালিকানা সরকার বা প্রেট্রোবাংলার কাছে ন্যস্ত হবে।


আমাদেরকাগজ/এইচএম