সারাদেশ ২ মে, ২০২৩ ১০:৩৫

শারীরিক সর্ম্পকে বিঘ্ন ঘটায় হোটেলে মায়ের প্রেমিকের হাতে শিশু খুন

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক:বরিশাল নগরীর বান্দ রোড এলাকায় আবাসিক হোটেল থেকে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শিশুটির নাম আবির ইসলাম জিহাদের(৫)। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের মায়ের পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

জানা যায়, মূলত শারীরিক সর্ম্পকে বিঘ্ন ঘটায় শিশুটিকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মায়ের প্রেমিক মিলন হাওলাদার। পরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় শিশুটিকে হত্যা করা হয়।মঙ্গলবার (২ মে) কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (৩০ এপ্রিল) ওই এলাকার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের হোটেল বায়েজিদে এ ঘটনা ঘটে।  

তবে প্রাথমিক তদন্তে মা মরিয়ম বেগম সম্পৃক্ত না থাকার বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

নিহত শিশুর দাদি নাসিমা বেগম জানান, আমি আর আমার ছেলে আল আমিন অনেকবার জিহাদকে নিতে তার নানা বাড়ি পটুয়াখালীতে গিয়েছি। কিন্তু মরিয়ম দেয়নি। রোববার সংবাদ পেয়েছি বরিশালে মারা গেছে জিহাদ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে খুন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমি মামলা দায়ের করেছি। জিহাদের মা বলেছে, সে মার্ডার করেনি। একাই মার্ডার করেছে মিলন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার রায় জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে নাসিমা বেগমের ছেলে আল আমিন ও তার স্ত্রী মরিয়মের মধ্যে চার থেকে ছয় মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর মরিয়ম তার ছেলে আবির ইসলাম জিহাদকে (৫) নিয়ে পটুয়াখালীতে বাবার বাড়ি চলে যায়। মরিয়ম এরপরে মিলনের সঙ্গে সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। গত ২১ এপ্রিল মিলনের সঙ্গে দেখা করতে এলে মিলন-মরিয়ম ও তার ছেলে জিহাদকে নিয়ে হোটেল বায়েজিদের ১১১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

তিনি আরও জানান, হোটেলে থাকালীন সময়ে জিহাদকে নিয়ে অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন প্রেমিক মিলন। মরিয়মের সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপনে জিহাদের জন্য বিঘ্ন হতো। গত ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় যখন জিহাদের মা হোটেল কক্ষে ঘুমাচ্ছিল, তার পাশ থেকে শিশু জিহাদকে তুলে নিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়াটারের পাঁচ নং পরিত্যক্ত ভবনের তিন তলার সিড়ির সামনে নিয়ে বুক, পিঠ ও মাথায় এলোপাথারী মারধর করে। এ সময় শিশু জিহাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কাঁধে করে হোটেল কক্ষে এনে পালিয়ে যায় প্রেমিক মিলন। পরে জিহাদের মা মরিয়মের ঘুম ভাঙলে ছেলের এই অবস্থা দেখে হোটেলে ম্যানেজারের সহায়তায় শিশুকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত শিশুর দাদি বাদী হয়ে একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে মামলায় প্রধান অভিযুক্ত প্রেমিক মিলনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আমাদের কাগজ/এমটি