সারাদেশ ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৩৭

রমজানের পর 

হাতের নাগালে তরমুজ, ছুঁয়েও দেখছে না ক্রেতারা  

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

তুষার আহম্মেদ: এবারের গেল রমজানে তরমুজের রমরমা ব্যবসা দেখেছে সর্বসাধারণ মানুষ। একে গরম তার উপর লোভনীয় ও পানীয় ফল তরমুজ দেখে অনেকেই লোভ না সামলাতে পেরে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে অনেককে। কেউ তো কেজিতে দর দরকষাকষি করেছে। তবে এখন দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।

হাতের নাগালে সারিসারি তরমুজ থাকলেও ফিরেও তাকাচ্ছেন না ক্রেতারা। তবে রমজান উপলক্ষ্যে অধিকাংশই ফলের দাম।

এ মাসে বেশি দাম বেড়েছে কলা, পেঁপে,আপেল হেকে শুরু করে পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল তরমুজের দাম। এদিকে আগের তুলনায় এখন দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, সারিসারি তরমুজের হাট কিন্তু ক্রেতা খুঁজে বা বুঝে কোনটিই পাচ্ছে না তরমুজ বিক্রেতারা।  

তরমুজ ব্যবসায়ী ফারুক হাওলাদার বলেন, রমজানে তরমুজের চাহিদা থাকলেও এখন একটু কম। তিনি জানান, ঈদের সবার দেশের বাড়িতে গ্যাছে সেইখানে হিমেল হাওয়া ও রোজা শেষে খাবারের তিপ্তি মিটিয়ে সবাই আবার ঢাকায় ফিরতেছে। সেই জন্য  বেচা-বিক্রি নাই এখন আগের মত। 

রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আস্ত বা গোটা তরমুজ বিক্রি করছেন অনেকেই। যেখানে আগে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি করতেন। এটি নেমে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকায় প্রতি তরমুজ। দাম কম থাকাতেও ভিড়ছেন না ক্রেতারা কিনছেন না তরমুজ। 

যা দুই দিন আগেও প্রতি একটি তরমুজ বিক্রি ছিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। এখন মাঝারি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, বড় তরমুজ  বিক্রি হচ্ছে 
১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। 

আমাদের কাগজ/এমটি