সারাদেশ ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৫৭

২২ দিন পরেও

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসে কেন হামলা, হিসাব মেলাতে পারছে না পুলিশ

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: গত ৪ এপ্রিল আগুনে পুড়ে ছারখার হয় দেশের অন্যতম পাইকারি পোশাকের এই মার্কেট। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উত্তেজিত জনতা ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে ঢিল ছোড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষে হামলা চালায় কতিপয় দুরবিত্তরা। 

ধারাল অস্ত্র নিয়ে অত সকালে হামলাকারীরা একত্রিত হলেন কিভাবে, পেছনে কেউ কলকাঠি নেড়েছে কি না, হামলার মতো বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করে আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের গতিকে ধীর বা ব্যহত করার ষড়যন্ত্র ছিল কি না—উত্তর মেলেনি সেসব প্রশ্নেরও।

এ ঘটনায় বংশাল থানায় করা মামলায় এ পর্যন্ত ১৭ জন গ্রেপ্তারের তথ্য ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আদালতের নির্দেশে পুলিশ তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেও গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য বের করতে পারেনি। জানা যায়নি ইন্দনদাতার নাম।

বঙ্গবাজারে অগ্নিনির্বাপণের সময় হামলা ও ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল মামলাটি করেন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

সেসময় পুলিশ জানিয়েছিল, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিমান্ডে নেওয়া তিনজনকে ধরা হয়। তাদের কেউ ব্যবসায়ী নন। এরা উৎসুক জনতা, যারা হামলায় অংশ নিয়েছিল।

তবে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী বা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও গ্রেপ্তাররা কেন হামলা চালালেন, মেলেনি সিই উত্তর। মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন বলে জানা গেছে। (সূত্রে : ঢাকা টাইমস)

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সমীরন মন্ডল বলেন, ‘এ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭ জন কারাগারে রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আসামিরা হামলার বিষয়ে মুখ খুলতে চায় না।’

এ হামলার ইন্দনদাতা কারা, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি বলেও জানান এসআই সমীরন মন্ডল। তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে কারণ বেরিয়ে আসবে।’

হামলার কারণ জানা যায়নি জানিয়ে বংশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল হাসান কামাল বলেন, ‘আসামিদের কাছ থেকে হামলার কারণ জানা যায়নি।’ তবে ক্ষোভ থেকে এ হামলা হয়েছে বলে মনে করেন না এ পুলিশ কর্মকর্তা।

আমাদের কাগজ/এমটি