রাজনীতি ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০৬:১৩

নেতারা এলাকায়; নির্বাচনের আগে যেমন হবে 'ঈদ রাজনীতি'

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র আট মাস বাকি। নির্বাচনের আগে আরেকটি ঈদ থাকলেও এবারও জমে উঠেছে ঈদ রাজনীতি। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিবিদরা ছুটছেন নির্বাচনী এলাকায়। রাজনীতির মাঠের প্রধান দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতার সবাই এখন এলাকামুখী। বিগত ঈদে এলাকায় না গেলেও এবার ঈদুল ফিতরের চিত্র ভিন্ন। ক্ষমতাসীনরা ছুটছেন গণসংযোগের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে। আর সরকারবিরোধীরা ছুটছেন চূড়ান্ত আন্দোলনের বার্তা নিয়ে। এ পরিস্থিতিতে এবার ঈদে সারাদেশে বইছে নির্বাচন এবং আন্দোলনের আবহ।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের বেশিরভাগ নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যই ঈদুল ফিতরে এলাকায় থাকবেন। মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নেতারাও আগেভাগে এলাকায় ছুটছেন। ঈদের ছুটিতে নিজ এলাকায় নির্বাচনের মাঠ গোছাতে তৎপরতা থাকবে তাঁদের। অবশ্য এই তৎপরতা শুরু হয়েছে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই। অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে জাকাত ও ফিতরা দিচ্ছেন তাঁরা; সাধ্যমতো দান-খয়রাতও করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণও করছেন অনেকে। আর ঈদের ছুটিতে এলাকার মানুষকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতার বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টাও থাকবে তাঁদের।


অন্যদিকে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঈদের ছুটি কাজে লাগাতে চান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেছেন নানামুখী তৎপরতা। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে কেন্দ্রের দিকনির্দেশনা পৌঁছে দেবেন তাঁরা। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এলাকায় নিজের অবস্থানকে জানানও দিচ্ছেন এসব নেতা। বিএনপির সাবেক মন্ত্রী-এমপি, বিগত নির্বাচনের প্রার্থী ছাড়াও সম্ভাব্য নতুন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এলাকায় যাচ্ছেন।


জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সমকালকে বলেছেন, মানুষের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থাকাটাই একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদের লক্ষ্য। আর ঈদ বা অন্য ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো মানুষের পাশে থাকার বড় সুযোগ এনে দেয়। এ কারণে বরাবরের মতো এবারের ঈদের আনন্দও মানুষের পাশে থেকেই উপভোগ করবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে সাধ্যমতো মানুষকে সহযোগিতাও করবেন।

অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নেই। অর্থনৈতিক অবস্থাও নাজুক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের দুর্নীতি এবং লুটপাটে জনগণ দিশেহারা। এ পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। বিএনপি নেতাকর্মীরা ঈদ উপলক্ষে সামর্থ্য অনুযায়ী স্ব-স্ব এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন; সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবেন তাঁরা। তিনি আশা করেন, জনগণ এবার জেগে উঠবে।


দলটির নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচনের আগে ঈদুল ফিতরের ছুটি এলাকায় গণসংযোগ বৃদ্ধি ও মানুষের পাশে থাকতে তাঁদের বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগে নিজ নির্বাচনী এলাকায় থেকে নেতাকর্মীকে উজ্জীবিত করার কাজ করবেন তাঁরা। বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করবেন। ঈদ উৎসবকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান ও সভা-সমাবেশে যোগ দিয়ে নির্বাচনী মাঠ নিজের পক্ষে রাখার কৌশল ও কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন তাঁরা।

সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা এবার নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন। অনেকে ঢাকায় ঈদ করলেও আগেই নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি নেতাকর্মী ও জনগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ঈদের দিন ঢাকায় থাকবেন। তবে আগেই নিজ নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠিতে গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে এসেছেন এলাকার নেতাকর্মী ও মানুষের সঙ্গে। দুস্থদের মধ্যে ঈদ উপহারও বিতরণ করে এসেছেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ পাঁচ দিনের সফরে এখন নিজ এলাকা ভোলা সদরে অবস্থান করছেন। পুরো ঈদের ছুটিতে এলাকার মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ এবং সভা-সমাবেশে যোগদানের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় কাটবে বর্ষীয়ান এই নেতার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঈদের দিন সকালে ঢাকায় নামাজ আদায়সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর পর নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীতেও যেতে পারেন তিনি। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নিজ এলাকা চট্টগ্রামের মানুষের সঙ্গে ঈদ কাটাবেন।

সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী ঈদ করবেন ঢাকায়। তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা শেরপুরে গিয়ে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ ও বিভিন্ন ঈদসামগ্রী বিতরণ করে এসেছেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ঢাকায় থাকলেও গোপালগঞ্জের নির্বাচনী এলাকার মানুষকে ঈদ উপহার দিয়েছেন আগেই। সভাপতিমণ্ডলীর অন্য সদস্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল, কাজী জাফরউল্লাহ ফরিদপুরের ভাঙ্গা, শাজাহান খান মাদারীপুর এবং আবদুর রহমান ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ঈদ করবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক নিজ নির্বাচনী এলাকা ঢাকার মোহাম্মদপুর-আদাবর থানার নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম, মাহবুবউল-আলম হানিফ কুষ্টিয়া, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম মাদারীপুর এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুরে এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ করবেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন নেত্রকোনা, বি এম মোজাম্মেল হক শরীয়তপুর, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট, মির্জা আজম জামালপুর, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন পটুয়াখালী এবং শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ঈদ উদযাপন করবেন। এই নেতারাও তাঁদের নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম নিজ নির্বাচনী এলাকা পিরোজপুর এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুরের মানুষের সঙ্গে ঈদ করবেন। এ ছাড়া দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ চাঁদপুরের কচুয়ার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ঈদ উপলক্ষে ৯ হাজার শাড়ি ও কয়েকশ পাঞ্জাবি বিতরণ করেছেন। দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নিজের গ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন। এরই মধ্যে এলাকায় সাত হাজার ৭০০ পরিবারের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।

বিএনপি

এবারের রমজান মাসকে সাংগঠনিক মাস হিসেবে ঘোষণা করার পাশাপাশি নিয়মিত রাজপথের কর্মসূচিতে সরব ছিল বিএনপি। লাগাতার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত ছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। একদিকে সারাদেশে বিভাগ ও জেলাভিত্তিক সমন্বিতভাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল; অন্যদিকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবিতে কর্মসূচিও অব্যাহত ছিল দলটির।

দলের নেতারা জানান, আগামীতে তাঁরা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবেন না। আর এ দাবি আদায়ে তাঁদের সামনে আন্দোলনের বিকল্প নেই। ওই আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করতেই তাঁরা কাজ করছেন।

এ লক্ষ্য সামনে রেখে ঈদ উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এলাকায় পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। যদিও এসব প্রচারণায় গণসংযোগের চেয়ে সরকারের দুর্নীতি, অপশাসনের চিত্রই বেশি তুলে ধরা হয়েছে। অনেকে নিজের পরিচিতি তুলে ধরেও এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টারিং করেছেন। নিজের অবস্থানকে জানান দেওয়ার জন্যই তাঁরা এটা করেছেন বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে এবার ঈদ সামনে রেখে সারাদেশে নির্যাতিত, গুম, খুন নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে তাঁদের পরিবারের কাছে ছুটে যাচ্ছেন নেতারা। ঈদের দিন কারাগারে আটক ৪৪৬ নেতাকর্মীর খোঁজ নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পাজামা-পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। এর আগেও রমজানজুড়ে বিগত দিনে গুম-খুনের শিকার নেতাকর্মীর জন্য ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সারাদেশে অসহায়-দুস্থদের জন্য বস্ত্র ও খাবার বিতরণ করছেন দলটির নেতারা।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতা ঢাকায় ঈদ করে নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। ঢাকার আশপাশের জেলার নেতার বেশিরভাগ ঢাকায় ঈদ করে তারপর নির্বাচনী এলাকায় যাবেন।

বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবনে থাকছেন ঈদের দিন। তাঁর সঙ্গে ঈদ করতে দেশে আসছেন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। বরাবরের মতো এবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঈদ করবেন ঢাকায়। ঈদের পর তিনি নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁও যাবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঈদের দিন যাবেন নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার দাউকান্দিতে। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকায় ঈদ করবেন। গয়েশ্বর রায় ঈদের দিন যাবেন নির্বাচনী এলাকা কেরানীগঞ্জে। ঈদের দিন বেলা ১১টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান নোয়াখালী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী সিলেট, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও মজিবর রহমান সরোয়ার বরিশাল; ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন নোয়াখালী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঈদ করবেন। এ ছাড়া দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী লক্ষ্মীপুর এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল খুলনায় ঈদের সময় অবস্থান করে এলাকার মানুষের মধ্যে আন্দোলন বিষয়ে জনমত সৃষ্টিতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ। ঈদ ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হয়। যেটাকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে চূড়ান্ত আন্দোলন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে। সূত্র: সমকাল।

 

 

 

আমাদের কাগজ/ টি আর