জাতীয় ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ০১:৩৫

নদীতে ভাসল বিজুর ফুল, পাহাড়জুড়ে রঙের ছটা

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শুরু হয়েছে চাকমাদের তিন দিনব্যাপী বিজু, ত্রিপুরাদের বৈসুক ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু উৎসব। পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এ উৎসব পালন করা হয়।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা নতুন বছরে তাদের ভাষায় বিভিন্ন নামে ডেকে থাকেন। ত্রিপুরাদে বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই, ম্রোদের চানক্রান, খিয়াংদের সাংগ্রান, খুমিদের সাংক্রাই, চাকমাদের বিজু ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু। তাই অনেকে এই উৎসবকে সম্মিলিতভাবে 'বৈসাবি' বলে থাকেন। 

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে বছরের শেষ দুইদিন ও বাংলা নব বর্ষের প্রথম দিন চাকমারা ফুল বিজু, মূল বিজু ও গজ্যাপজ্যা এই তিনদিন বিজু পালন করে। তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের প্রথম দিনে বাড়িঘর পরিষ্কারের পর নদীতে স্নান করে পরিশুদ্ধ হয় পাহাড়িরা। এই দিনে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোর রেওয়াজ আছে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে পাজনসহ হরেক রকমের খাবার দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে আপ্যায়ন করা হবে অতিথিদের। উৎসব শেষ হবে 'গজ্যাপজ্যা' বা বিশ্রামের মধ্য দিয়ে।

সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈটিং মারমা জানান, মাহাঃ সাংগ্রাইং পোয়ে ১৩৮৫ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তারমধ্যে ১৩ এপ্রিল সাংগ্রাইং র‌্যালি, রিলং পোয়ে ও পাড়ায় পাড়ায় পিঠা তৈরি।

জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, সাংগ্রাইং,বিজু, বিষু, বৈসু উৎসব ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জেলা জুড়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বান্দরবানে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উৎসব স্থলে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে দুই স্তর বিশিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। 

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর