উন্নয়ন সংবাদ ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১১:৪১

এই সপ্তাহতেই পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী সপ্তাহে পদ্মা সেতুর মাওয়া-ভাঙ্গা সংযোগ রেলপথে একটি বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পরিকল্পনা করছে। সেতু-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু একটি স্লিপার মিস ম্যাচের জন্য সেতুতে রেললাইন সম্পন্ন করায় বিলম্ব হচ্ছে। স্লিপারটি বসানোর পর রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের জন্য ৩০ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। 

জানা যায়, স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বাকি আছে শুধু একটি স্লিপার বসানোর কাজ। ৭ মিটার দীর্ঘ স্লিপারটি বসালেই সম্পন্ন হবে লাইন নির্মাণ। স্লিপারটি বসানো হয়ে গেলে ৩০ মার্চ মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত পুরো সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, বাকি থাকা স্লিপারটি চীন থেকে উড়োজাহাজে করে দেশে আনা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় স্লিপারটি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। দ্রুতই সেটি প্রকল্পের সাইটে নেয়া হবে।স্লিপারটি বসানোর সঙ্গে ৬ মিটারের কংক্রিটিং হবে। সেটি শক্ত হতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এই কংক্রিট পুরোপুরি শক্ত না হলে সেটির ওপর দিয়ে ট্রেন যেতে পারবে না।

আরও জানা যায়,‘স্লিপারটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছেছে। প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এটি বসানো হবে। তারপর কংক্রিটের কাজ করা হবে। স্লিপারটির জন্যই এখন অপেক্ষা। আমাদের ৯৯ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

প্রকৌশলীরা বলছেন, ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা রেল সেতুতে এমন ৮টি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। বাকি ৭টি যথাযথভাবে স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর মাঝামাঝি ৫ নম্বর মুভমেন্ট জয়েন্টের ওই ইস্পাতের স্লিপারটি বসানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। আর মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের ৮টি স্লিপার ছাড়া বাকিগুলো কংক্রিটের তৈরি। এগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পুরনো রেল স্টেশনের পাশে স্থাপিত কারখানায় তৈরি করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

একইসঙ্গে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৭২ কিলোমিটার রেললাইন তৈরির জন্য সব স্লিপার একই কারখানায় তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের স্লিপারগুলো তৈরি করে আনা হয় চীন থেকে।

প্রসঙ্গত, রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ। এখন তা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পথে।

অন্যদিকে,পদ্মা সেতু ছাড়াও প্রকল্পের মোট ১৭২ কিলোমিটার লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস ও ১৩টি রেল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দু’পাশের স্টেশন নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। 

উল্লেখ্য, সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চলছে পদ্মা সেতুর এই রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ।

আমাদের কাগজ/এমটি