সারাদেশ ২৫ মার্চ, ২০২৩ ০৩:৩৭

পদ্মার চরে পড়ে থাকা বিলাসবহুল গাড়িতে মিললো অর্ধগলিত মরদেহ

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: পাবনা-কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী পদ্মার চর এলাকায় দুই দিন ধরে একটি বিলাসবহুল এসইউভি সাদা গাড়ি দাঁড়ানো ছিল। লোকজনের সন্দেহ হলে শনিবার সকালে গাড়িতে দেখতে পান ভেতরে কেউ একজন আছেন। পরে পুলিশে খবর দিলে সেই গাড়ির চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

গাড়িটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে 'নিকিমত' নামের একটি সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। সেই গাড়ির ভেতরে ছিল চালকের অর্ধগলিত মরদেহ। 

শনিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

নিহতের নাম মো. সম্রাট। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আলহাজ মোড় এলাকার মো. আবুবকর সিদ্দিকের ছেলে।  

নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সাদিপুর পদ্মার চরের নির্জন স্থানে একটি দামি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়িটি দুই দিন ধরে সেখানেই অবস্থান করছে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। আজ সকালে গাড়ির কাছে গিয়ে ভেতরে মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেয়। 

ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, সম্রাট গত দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার ঈশ্বরদী থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরপরই পুলিশ সম্রাটের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নেয়। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে 'সম্রাট খুন' হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পুলিশ আরও তৎপর হয়ে ওঠে। আজ সকালে পদ্মার চর এলাকায় সাদা একটি প্রাইভেট কারের ভেতরে মরদেহের সন্ধান পায়। পরে সম্রাটের বাবা ও প্রাইভেট গাড়ির মালিককে ডেকে এনে সম্রাটের মরদেহ শনাক্ত করা হয়।

নিহত সম্রাটের বাবা মো. আবুবকর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ‘মোমিন নামে সম্রাটের এক বন্ধু তাকে হত্যা করেছে।’ 

ওসি বলেন, সম্রাটের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সম্রাটের এক বন্ধু মোমিন খানের স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সীমার স্বামী মোমিন খান একসময় সম্রাটের সঙ্গে চাকরি করতেন। ঘটনার পর থেকে মোমিন খান পলাতক রয়েছে।

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর