আইন ও আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:০৩

পঞ্চগড়ে ডিভাইসসহ হলে ধরা, স্বামী-শাশুড়িসহ গৃহবধূ কারাগারে

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ যুগের সাথে তাল মিলেয়ে চলা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব কিছুর ক্ষেত্রে এখন যেন প্রযুক্তির ছোঁয়া দেখতে পাই আমরা। এবার সেই প্রযুক্তির অঘাত ব্যবহার কাল হয়ে দাঁড়ালো স্বামী-শাশুড়িসহ গৃহবধূ ক্ষেত্রে। 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ে পরিবার পরিকল্পনার লিখিত পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ও পাইলট কলম ব্যবহার করতে গিয়ে খেয়েছেন ধরা। আর এতে, পরীক্ষার্থী গৃহবধূ ও তার স্বামী-শাশুড়িকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তথ্য অনিযায়ী যা ছিল আগে থেকেই পূর্বপরিকল্পিত। 

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের লিখিত পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ও পাইলট কলমসহ রেবেকা আক্তার (২৭) নামে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। একই সময় আবু হায়াত (৩০) ও হাজেরা বেগম (৪৯) নামে আরও দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন-  বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের রেবেকা আক্তার (পরীক্ষার্থী), তার স্বামী আবু হায়াত ও শাশুড়ি হাজেরা বেগম।

জানা যায়, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক পদের পরীক্ষায় পঞ্চগড় মকবুলার রহমান কলেজে অংশগ্রহণ করেন রেবেকা। এ সময় পরীক্ষায় রেবেকাকে সন্দেহ হলে পরীক্ষক তার সঙ্গে কথা বলেন। এতে অসংলগ্ন কথা বললে নারী পুলিশের মাধ্যমে একটি কক্ষে নিয়ে তাকে তল্লাশি করা হয়। আর তাতেই বেড়িয়ে আসে মূল ঘটনা। 

সূত্র অনুযায়ী, পূর্বপরিল্পনা অনুযায়ী গেঞ্জিতে একটি ডিজিটাল ডিভাইস ও পাইলট নিয়ে আসেন তিনি। একই সময় তার দেয়া তথ্যমতে অপর দুজনকে ডেকে এনে আটক করা হয়। পরে পরীক্ষা শেষে রাতে তাদের থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়। 

রোববার দুপুরে পরীক্ষার্থী রেবেকাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রতারণাসহ ছলনার আশ্রয় গ্রহণ ও সহায়তা করার অপরাধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) ফরহাদ হোসেন সময় সংবাদকে এসব তথ্য জানান। শিক্ষা খাতে চুরি কিংবা নকল এ নতুন কিছু নয়। আমাদের মানুষিকতার আরও বিকাশ ঘটাতে হবে এটাই আসল কথা। কথায় আছে, ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা!’


আমাদের কাগজ/এমটি