অপরাধ ও দুর্নীতি ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:০৪

নববধূকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরে বিয়ের ২৮ দিনের মাথায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মনোয়ার হোসেন (৩৩)। নিহত সুমাইয়া আক্তার হাসি (২৭) বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়ার আব্দুল খালেকের কন্যা। 

গতকাল রাত সোয়া ১০টায় স্বামী মনোয়ার থানায় এসে নিজ স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে শহরের নতুন ঘাসিপাড়ার সনি বেগমের ভাড়া ফ্লাটে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেন। শুক্রবার রাতেই নিহত গৃহবধূর বড় ভাই ইসাহাক আলী বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মনোয়ার হোসেন দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকা মৃত শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে। মনোয়ার দিনাজপুর শহরের জেল রোডে জেলা কারাগারের মার্কেটের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইলের ব্যবসা করছিলেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন। 

পরিবারের সূত্রে জানাযায়, মনোয়ার হোসেন নতুন ঘাসিপাড়ার সনি বেগমের ফ্লাটে দীর্ঘ ১ বছর ধরে বসবাস করছেন। আগে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক তিনি দেন। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি সুমাইয়া আক্তার হাসিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। শুক্রবার ভোর ৪টায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের ওয়ারড্রপের ড্রয়ারে ঢুকিয়ে রাখেন। শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় স্বামী মনোয়ার হোসেন কোতয়ালী থানায় এসে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। 

নিহতের বড় ভাই ইসাহাক আলী বলেন, মনোয়ার হোসেন একজন প্রতারক। আমার বোনকে সে প্রতারনা করে বিয়ে করেছে। সে খুব খারাপ মানুষ। আমার বোনকে হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই। 

আমাদেরকাগজ/ এইচকে