আইন ও আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০১:০৫

ধর্ষণ মামলা

৪ মাস পর নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় অষ্টম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য প্রায় সাড়ে চার মাস পর নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় তাকে।

আজ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তিনজনকে সমন দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- ২৩ নম্বর সাক্ষী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিসুর রহমান, ২৪ নম্বর সাক্ষী এএসআই কর্ণকুমার হালদার ২৫ নম্বর সাক্ষী এএসআই শেখ ফরিদ। একই সঙ্গে আগের তারিখে অনুপস্থিত থাকা সাক্ষীরাও আছেন।

দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। ধর্ষণ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সাক্ষ্য শেষে মামুনুল হককে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। এদিন সোনারগাঁ থানার এসআই মো. কোবায়ের হোসেন বোরহান দর্জি নামে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কে এম ওমর ফারুক নয়ন জাগো নিউজকে বলেন, আজ মামুনুল হকের বিপরীতে চার পুলিশসহ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা আছে। মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা আছে।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হককে আনা হয়েছে।

২০২১ সালের এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল।

২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর সাক্ষ্য নেন আদালত। একইসঙ্গে ওই বছরের নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।