আন্তর্জাতিক ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৪:৪৫

পেটে ৫১ বার গরম রডের ছ্যাঁকায় শিশুর মৃত্যু

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ তিন মাস বয়সি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার নামে পেটে ৫১ বার গরম লোহার রডের ছ্যাঁকায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিকিৎসার নাম করে শিশুকন্যার পেটে গরম রডের এ ছ্যাঁকা দেয়া হাতুড়ে ডাক্তারটি। এতে মৃত্যু হয় শিশুটির। 

হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউমোনিয়ার কারণে শিশুটির শ্বাসকষ্ট ছিল। তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হলে তাকে শাহদোল মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই নিউমোনিয়া আক্রান্ত কন্যাকে বাঁচাতে তার পেটে গরম রড দিয়ে ছেঁকা দেয়ার পরামর্শ দেন এক হাতুড়ে ডাক্তার। রাজি হয়ে যান মা। এক জন স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সেই শিশুর মাকে এই ভাবে পেটে খোঁচা না দেয়াতে পরামর্শও দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেননি। আর এর ফলেই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন গত বুধবার ওই নবজাতিকার মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, শিশুটির দেহ শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।শাহদোলের জেলা প্রশাসক বন্দনা বৈধ জানিয়েছেন, চিকিৎসায় বিলম্বের কারণে শিশুটির সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল। আর সংক্রমণ থেকে বাঁচাতেই হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে গরম রডের ছ্যাঁকা দেয়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মা। মহিলা এবং শিশু উন্নয়ন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলেও বন্দনা জানিয়েছেন।

বন্দনা আরও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের অনেক আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করার জন্য গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়ার চল রয়েছে।

প্রসঙ্গত, হাতুড়ে ডাক্তার হচ্ছে সেই সকল ব্যক্তি যারা চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত কিন্তু চিকিৎসা সেবায় যারা অদক্ষ। হাতুড়ে ডাক্তার শব্দটি একটি বাংলা বাগধারা। যে ডাক্তার রোগ হাতড়ে বেড়ায়। হাতুড়ে ডাক্তাররা দাবী করেন তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে জ্ঞান ও দক্ষতা আছে।
সূত্রে: এনডি টিভি 

আমাদের কাগজ/এমটি