অর্থ ও বাণিজ্য ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:৩৪

পাকিস্তানে রেকর্ড আকারে মূল্যস্ফীতি, আগুন দাম নিত্য পণ্যের  

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ ফুলেফেপে উঠেছে, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা। আগুন দামে কিনতে হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। এশিয়ার এ দেশটিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ২৭ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছায়। যা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। (সংবাদমাধ্যম দ্য ডন) 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ৪৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছে পাকিস্তান।

তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে চলতি বছরের আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৩ শতাংশে। পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিবিএস) প্রকাশিত বৃহস্পতিবারের(২ ফেব্রুয়ারি) ডেটা অনুযায়ী, এ বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ১৯৭৫ সালের পর সর্বোচ্চ। রেকর্ড রাখা শুরুর ওই বছরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ২৭.৮ শতাংশ।

চলমান বন্যা এবং এর ফলে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার প্রভাব দেখা যাবে সেপ্টেম্বরের হিসাবে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি আগস্টের চেয়েও বেশি হতে পারে।

পেট্রলের দাম ৮৪ শতাংশ বাড়ায় আগস্টে সর্বোচ্চ ৬৩ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়া পচনশীল খাদ্যপণ্যে গড় মূল্যস্ফীতি এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।

গত মাসে পাকিস্তানে বিদ্যুতের দাম এক বছরের আগের তুলনায় বেড়েছে ১২৩ শতাংশ। শুল্ক বৃদ্ধি ও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের কারণে বিদ্যুতের দামের এ উল্লম্ফনের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে।

কৌশলগত পণ্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি হয় অন্য সব পণ্যের। সব দেশের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে। 

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ভোক্তা মূল্য সূচকের মাধ্যমে ভোক্তাদের ব্যয় এবং সেবার ওপর নির্ভর করে মাস থেকে আরেক মাসের মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করা হয়।এছাড়া বর্তমানে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। যদি আইএমএফ এ ঋণ দিতে সম্মত হয় তাহলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।
 

আমাদের কাগজ/এমটি