অর্থ ও বাণিজ্য ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০২:৩০

আমদানি সংকট, রমজানে বাড়তে পারে খেজুরের দাম

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

তুষার আহম্মেদঃ খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। বিশেষ করে রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। খেজুর ছাড়া ইফতারের কথা চিন্তাই করা যায় না। গত কয়েক বছর রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ভালো ছিল। দামও ছিল নাগালের মধ্যে। তবে এ বছরের চিত্র ভিন্ন হতে পারে। এলসি খুলতে না পারায় চাহিদামতো খেজুর আমদানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় রমজানে খেজুরের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং দামও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার ( ৩০ জানুয়ারি ) দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ফলের বাজার রাজধানীর পুরান ঢাকার বাদামতলীর খেজুর আড়ৎ ঘুরে এই তথ্য জানা গেছে। 

সরেজমিনে বাজার ঘুরে জানা যায়, দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুর আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে। করোনা মহামারির কারণে গত কয়েক বছর সৌদি আরবে ওমরাহ ও হজ পালনে নানা বিধিনিষেধ ছিল। তাই দেশটিতে মানুষের সমাগমও ছিল কম। যার প্রভাব পড়ে খেজুরের বাজারে।

দুবাই থেকে আনা পাঁচ কেজি প্যাকেটের খেজুরের বর্তমান বাজার মূল্য এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩৫০ টাকা। ইরান থেকে আনা মরিয়ম খেজুর তিন হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

খেজুরের চাহিদা কমায় ধস নামে দামেও। যার সুবিধা পায় বাংলাদেশ। গত কয়েক বছর তুলনামূলক কম দামে খেজুর আমদানি করেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। 

ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, দেশে বছরে খেজুরের চাহিদা ২০ হাজার টন। এই চাহিদা পূরণ করতে পুরোটাই আমদানি করতে হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনেশিয়া, ইরাক ও ইরান থেকে খেজুর আমদানি করা হয়। 

নিয়মিত খেজুর কেনেন বলে জানান সরকারি চাকরিজীবী মারুফ হোসেন। তিনি আমাদের কাগজকে জানান, আমি গত মাসেও খেজুর কিনেছিলাম, তখন দাম কিছুটা কম ছিল। আজ খেজুর কিনতে এসে দেখি প্রকারভেদে সব ধরণের খেজুরের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০  টাকা।‘ তবে আসন্ন রমজানে খেজুরের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।  

গত বছরের শেষের দিকে খেজুর আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি পান ব্যবসায়ীরা। তারপরও কিছু জটিলতা রয়ে গেছে। এদিকে, যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে খেজুর আসে ওই সব দেশের মুদ্রার দামও টাকার চেয়ে বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে খেজুর আমদানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রভাব ইতোমধ্যে পড়েছে দেশের বাজারে। সামনে আরও সংকট দেখা দিতে পারে।

আমাদের কাগজ/এমটি