রাজনীতি ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৪:৩৮

আওয়ামী লীগ কখনও পালায় না, পিছু হটে না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:  আওয়ামী লীগ কখনও পালায় না, পিছু হটে না। আজকে বিরোধী দল অনেক কথা বলেন। আবার বলে আমরা নাকি পালানোর পধ পাবো না। আমি বিএনপি জামায়াত জোট যারা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞেস করি, পালায় কে? 

  রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে জেলা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

শেখ হাসিনা বলেন,  জিয়াউর রহমান আমাকে বাধা দিয়েছিল দেশে আসতে। আমি বাধা অতিক্রম করে দেশে ফিরে ছিলাম। ২০০৭ সালে যখন তত্বাবধায়ক সরকার আছে, তখনও আমি বিদেশে গিয়েছিলাম, আমার ছেলের বউ অসুস্থ্য ছিল, তার বাচ্চা হয়েছিল, তাকে দেখতে। আমাকে দেশে ফিরতে দিবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছিলাম আমি যাব, এই কেস মোকাবিলা করব। আমি দেশে ফিরে এসেছি শুধু মাত্র বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।  আজকে যারা বলে পালানোর সুযোগ পারবে না আওয়ামী লীগ। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আওয়ামী লীগ পালায় না। পালায় আপনাদের নেতারাই। বিএনপির নেতারা কে? তারা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাদের এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার অনুস্থিতিতে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানানো হয়। আমি আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি এমন একটি দেশে ফিরে আসি, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। সে অবস্থা আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তারপর চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশকে উন্নত করতে। ৪০জন মেট্টোটন খাদ্য ঘারতি ছিল। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয় নাই। চিন্তাও করে নাই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করে। 

তিনি আরো বলেন, এই রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা করে দেন। এরপর সব বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ বন্ধ কারখানা চালু করতে কাজ করে। পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাধ করে দিয়ে সেই ভাঙ্গন আমরা রোধ করে দেই। এই রাজশাহীর মানুষের কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নাই। ইতিমধ্যে রাজশাহীর মানুষের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।

 

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর