সারাদেশ ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৪০

খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসছেন নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আমেজ তৈরি হয়েছে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠছে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠ। রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসছেন নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৫ বছর পর আজ রোববার বিকেলে রাজশাহী নগরীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে দলীয় জনসভায় বক্তব্য দেবেন। 

জানা গেছে, বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা ট্রেন বা বাস যোগে রাজশাহীতে আসছেন। তারা রাজশাহী রেলস্টেশন বাস টার্মিনালের নেমে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে এগোচ্ছেন। নেতাকর্মীদের একত্রিত হয়ে আসায় খণ্ড খণ্ড মিছিল তৈরি হচ্ছে। মিছিলের ব্যানার ফেস্টুনগুলোতে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র ফুটে উঠেছে।

নাটোর থেকে ট্রেনে আসা সাজ্জাদ হোসেন নামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, আমার এলাকা থেকে অনেকেই রাজশাহীতে এসেছেন। আমরা একসঙ্গে ৯ জন এসেছি। খুব সকালে খাওয়া দাওয়া করে রওনা দিয়েছি। রাজশাহীতে গিয়ে জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনব। আর রাজশাহী ঘুরে দেখব। 

সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা, দিচ্ছেন স্লোগান। হাতে রয়েছে পোস্টার ও ব্যানার। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় বিজয়ী করার জন্য জনগণের কাছে ভোট চাইবেন। একই সঙ্গে ৩২টি উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।  

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে রাজশাহী এখন উৎসবের নগরী। দীর্ঘ দিন পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে কাছে থেকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন হাজার হাজার মানুষ। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলার সবকটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকেও আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকেরা জড়ো হচ্ছেন সভাস্থলে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মনি মিয়া জানান, রাজশাহীবাসী আজ সফল। রাজশাহীর মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলতে আসছেন। শেখ হাসিনা আজ আমাদের রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, শিশু হাসপাতালসহ অনেক কিছু দিয়ে যাবেন। এটা আমাদের সৌভাগ্য।