আমাদের কাগজ ডেস্কঃ‘নতুন বছরে নতুন বই, আনন্দে মন হৈ চৈ’ প্রকৃতিতে শীতের আবহ, কুয়াশা এখনও কাটেনি। সেই কুয়াশার চাদর ভেদ করে স্কুলের মাঠে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি। সবার চোখে-মুখে আনন্দ।কিন্তু একি! ভুলে ভরা বই নিয়ে মুখ ভারী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের। এদিকে পাঠ্যবইয়ে বের হওয়া ভুলের বেশিরভাগই দশ বছর আগের বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) চাঁদপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পাঠ্যবইয়ে যেসব ভুল বেরিয়েছে তার অধিকাংশ দশ বছর আগের ভুল। পাঠ্যবইয়ে কোনো ভুল যদি থাকে সেটা অনিচ্ছাকৃত। আর যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভুল করে তার জন্য আমরা তদন্ত কমিটি করেছি।”
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত যে ভুলগুলো বেরিয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে ১০ বছর আগের ভুল। আমি খুব খুশি যে, ১০ বছর আগের বই-ই সবাই পড়ছে। এতে ভবিষ্যতে আমাদের কোনো বইয়ে ত্রুটি থাকবে না। তিনি আরও বলেন, মুখস্থ করে কিন্তু সৃজনশীল মানুষ হওয়া যায় না। হাতে-কলমে শেখাতে হবে। তাহলে সেটা আর ভুলবে না এবং আত্মস্থ করবে। নতুন শিক্ষাক্রমে এই ধরনের শিক্ষাক্রমই অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি।
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “পাঠ্যবইয়ের কোথাও বানর থেকে মানুষ হয়েছে এমন তথ্য নেই অথচ একটা গোষ্ঠী অপপ্রচার করছে। বলে যেই ছবিটা রয়েছে, বিভিন্ন সময়ের মানুষ। আদিযুগে মানুষ দেখতে কেমন ছিল আর এখন কেমন। অনেকেই না দেখে মন্তব্য করছেন সত্যিই মনে হয় বইতে এই কথাটি রয়েছে। আপনারা বই খুলে দেখুন, কোথাও এই কথা নেই। কেউ গুজবে কান দিবেন না।”
এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, ব্র্যাক শিক্ষা তরীর পরিচালক সাফি রহমান খান, চাঁদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান শোভন উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের কাগজ/এমটি