মুক্তমত ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৫৮

৩০ বছর ধরে কেন ইঁদুর ধরছেন আনোয়ার হোসেন?

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

তুষার আহম্মেদঃ ইঁদুর ধরা নেশা এবং পেশা এমন আজব মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে অধুনিকতার ছোঁয়া লাগা অন্তত এ অর্থবছর গুলোতে। 

আক্কেলপুরের আনোয়ার ২০০১ থেকে সাল ইঁদুর ধরে আসছে। এই ইদূর একসময় তার নেশায় পরিনত হওয়ায় তার বাসরত জেলার কৃষি অধিদপ্তরের তাকে আরো উদ্ভূত করেন। লেজ প্রতি ৫০ গ্রাম চালও পেয়ে থাকেন তিনি। শুধু তাই নয়, একাধিক আঞ্চলিক পুরস্কার পেয়েছেন ইঁদুর আনোয়ার। যে নামে বেশি পরিচিতি তার। তিনি নিজেই জানিয়েছেন। 

জানা যায়, উপহার দিয়ে শুরু হয় ইঁদুর আনোয়ারের সংগ্রামী উপার্জনিক মাধ্যম। আরও জানা যায়, প্রথমে আধা কেজি খানেক গম পেলেও পরে সেটা বেড়ে বাৎসরিক ১ থেকে দেড় মন পর্যন্ত গম পেতেন তিনি। যার পুরো কৃতিত্ব তিনি সরকারকে জানিয়েছেন।

মাঝখানে গম ও চাল পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন উপার্জনের এবং গ্রামীণ জীবন বসবাস করতে আশেপাশের এলাকার গৃহস্থরা তাকে সাহায্য করে থাকেন।আমাদের কাগজকে তিনি বলেন,ভালোবেসে এক কিংবা দুইমুঠো চালের জন্য এখনও তিনি এ পেশাকে ছাড়তে পারেন নি। 

ইঁদুর ধরার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানান, মাঝে মাঝে ইদূর ধরতে বিলম্ব হতো। তবুও মানুষের ক্ষেতের ফসল প্রতিরক্ষার বাহক হিসেবে ইঁদুর আনোয়ার বা আনোয়ার ইঁদুর ওয়ালাকেই ডাক পাঠাতেন।

বছরে ৫-৭ হাজার ইঁদুর ধরেন তিনি। শুধু তাই নয় লেজ কেটে জমা দেন স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরে। এর বিনিময় ছোট -খাটো পুরস্কার পেতেন তিনি। 

পর্যালোচনা করতে গেলে, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ২০২২ এর ইঁদুরের দ্বারা ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২২৯০০০০ হাজার টাকা। এতে রয়েছে আমন ধান,আলু এবং গম।   

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার খাদ্যশস্য, ফলমূল আসবাবপত্র নষ্ট হয় ইঁদুরের কারণে।সূত্রঃ বিবিসি 

আমাদের কাগজ,এমটি