জাতীয় ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০১:৫৪

নির্বাচনের আগে সুখবর,বাড়ল ভোটার সংখ্যা 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে এই তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

তথ্য অনুযায়ী, হালনাগাদের পূর্বে দেশে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০জন।হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন। অর্থাৎ দেশে নতুন ভোটার বাড়ল ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন। রোববার (১৫ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

হালনাগাদ শেষে সারাদেশে প্রকাশিত খসড়া তালিকা প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, হালনাগাদে মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। মৃত ভোটার কর্তন করার পর দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন। মহিলা ভোটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, হালনাগাদের খসড়া তালিকা বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হবে। কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ এজন্য ১৬ দিন সময় পাওয়া যাবে। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মার্চ।

দাবি, আপত্তি ও সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি উপজেলা বা থানার ভোটার এলাকার জন্য সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসাররাও নিয়োগ পেয়েছেন।

এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কিছু বিশেষ এলাকার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককেও (শিক্ষা) সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ (রিভাইজিং অথরিটি) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

২০০৭-২০০৮ সাল থেকে দেশে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। ইসির দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তথ্যভাণ্ডারে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।

প্রথম থেকে এনআইডি হারানো ও সংশোধন সংক্রান্ত সেবা বিনামূল্যে দিলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

প্রসঙ্গত,চলতি বছরের ২০ মে থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা।  

এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে দাবী, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি।  

চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগেরবারে চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

আমাদের কাগজ/এমটি