লাইফ স্টাইল ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৩৪

মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা গেলে গুনাহ হবে কি?

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ হরহামেশা আমরা ফোনের ব্যাল্যান্স শেষ হলে ভরসা দূত হয় উক্ত ফোনে থাকা সিম-টি। প্রয়োজনে কিনবা অপ্রয়োজনে আমরা প্রায় সময়েই মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে নিয়ে থাকি। আর এই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেয়া মানে হলো, মোবাইল কোম্পানীর কাছ থেকে উক্ত টাকা ঋণ হিসেবে গ্রহণ করা।আর ইসলামে ঋণ পরিশোধ করা আবশ্যক। এতে গড়িমসি কাম্য নয়। কেউ ঋণ করার পর তা পরিশোধ না করলে পরকালে আল্লাহর দরবারে তাকে জবাবদিহিতা ও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করা ছাড়া মারা গেলে হাশরের ময়দানে নিজের নেকি থেকে ঋণের দাবি পূরণ করতে হবে।’ (সহিহ বুখারি : ২৪৪৯) 

পাশাপাশি ঋণ নিয়ে কোনো ব্যক্তি যদি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় এবং ঋণ প্রদানকারী ব্যক্তি যদি সেই ব্যক্তিকে মাফ করে দেয় তাহলে সেটি আরও উত্তম। এ প্রসঙ্গে রয়েছে, ‘আর ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, তাহলে তাকে স্বচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে সেটা তোমাদের জন্য আরও উত্তম, যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৮০)

আর তাই মোবাইলে অগ্রিম ব্যালেন্স নেওয়ার পর যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সেটি দেনা হিসেবে থেকে যাবে। সেটা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত কোনো মানুষ মারা গেলে, তার মোবাইল সন্তান বা পরিবারের অন্যরা ব্যবহার করে থাকেন। এবং পরবর্তী রিচার্জের মাধ্যমে যেহেতু এটি এডজাস্ট করা হয় বা কেটে নেওয়া হয়; অতএব এর মাধ্যমে তিনি দায়মুক্ত হবেন। মোটকথা, তার উত্তারাধিকাররা তার সম্পদ থেকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধ করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, কেউ যদি ঋণ নিয়ে মারা যান তাহলে অবশ্যই পরিবারের অন্যদের সেটি পরিশোধ করতে হবে। মোবাইল ফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের বিষয়টিও একই ধরনের। কেউ ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা গেলে পরিবারের অন্যদের তা পরিশোধ করতে হবে।

অতএব প্রত্যেকের উচিত যথাসম্ভব ঋণ গ্রহণ থেকে বেঁচে থাকা, যা পরিশোধ করতে না পারলে ইহকালে পরিবারের জন্য এবং পরকালে নিজের জন্য কঠিন বোঝা হয়ে দেখা দেবে।

আমাদের কাগজ/এম টি