জাতীয় ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৫:২৩

 জনগণের সেবা প্রাপ্তির ভরসাস্থল হবে থানা : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ সপ্তাহের তৃতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার রাজারবাগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পেশাগত উৎকর্ষের পাশাপাশি পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশাও বেড়েছে। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দিতে পুলিশ সদস্যদের সচেষ্ট থাকতে হবে। তাহলেই থানা হবে জনগণের সেবা প্রাপ্তির ভরসাস্থল। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে আইজি’জ ব্যাজ প্রদান করেন বাহিনী প্রধান। 

শিল্ড প্যারেড, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালান দ্রব্য উদ্ধার অভিযানে কৃতিত্ব অর্জনকারী ইউনিটকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবার ৪৫৮ জন পুলিশ সদস্যকে ‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২২ (আইজি’জ ব্যাজ)’ প্রদান করা হয়।

আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সাম্প্রতিক নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপ সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। সততা ও স্বচ্ছতার এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান অবস্থান আরও দৃঢ় করতে হবে।’
 
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘পুরস্কার সম্মান, গর্ব ও অহংকারের স্মারক। পুরস্কার ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়। নিজেদের কর্মস্পৃহাকে শাণিত করে।’ তিনি বলেন, ‘অপারেশনাল কার্যক্রমে পেশাদারির সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

গত বছর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ‘ক’ গ্রুপে প্রথম চট্টগ্রাম জেলা, দ্বিতীয় পাবনা জেলা এবং তৃতীয় হয়েছে কুমিল্লা জেলা। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম কক্সবাজার জেলা, দ্বিতীয় নরসিংদী জেলা এবং তৃতীয় যশোর জেলা। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম এপিবিএন, দ্বিতীয় রাজবাড়ী জেলা এবং তৃতীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ‘ঘ’ গ্রুপে প্রথম র‍্যাব-১৫, কক্সবাজার, দ্বিতীয় র‍্যাব-৭ এবং তৃতীয় র‍্যাব-৫। ‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম ডিএমপির ডিবি, যৌথভাবে দ্বিতীয় রমনা বিভাগ ও মিরপুর বিভাগ এবং তৃতীয় হয়েছে ওয়ারী বিভাগ।

২০২২ সালে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধার অভিযানে পুরস্কারপ্রাপ্ত ইউনিটে মধ্যে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ‘ক’ গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কুমিল্লা, দ্বিতীয় চট্টগ্রাম এবং তৃতীয় সিএমপি। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দ্বিতীয় কক্সবাজার এবং তৃতীয় রাজশাহী। ‘গ' গ্রুপে প্রথম লালমনিরহাট, দ্বিতীয় জয়পুরহাট এবং তৃতীয় গাজীপুর। ‘ঘ’ গ্রুপে প্রথম র‍্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, দ্বিতীয় র‍্যাব-৭ এবং তৃতীয় র‍্যাব-১৫। ‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম ডিবি, ডিএমপি, দ্বিতীয় ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি এবং তৃতীয় মিরপুর বিভাগ, ডিএমপি। ‘চ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে এপিবিএন, দ্বিতীয় রেলওয়ে পুলিশ এবং তৃতীয় হাইওয়ে পুলিশ।

চোরাচালান মালামাল উদ্ধার অভিযানে ‘ক’ গ্রুপে চট্টগ্রাম প্রথম, সিএমপি দ্বিতীয় এবং কুমিল্লা তৃতীয় হয়েছে। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম যশোর, দ্বিতীয় নেত্রকোনা এবং তৃতীয় সাতক্ষীরা। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দ্বিতীয় মেহেরপুর এবং তৃতীয় পঞ্চগড়। ‘ঘ’ গ্রুপে র‍্যাব-৯, প্রথম, র‍্যাব-৭ দ্বিতীয় এবং র‍্যাব-১১ তৃতীয়। ‘ঙ’ গ্রুপে মিরপুর বিভাগ প্রথম, ওয়ারী বিভাগ দ্বিতীয় এবং উত্তরা বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। ‘চ’ গ্রুপে এপিবিএন প্রথম, রেলওয়ে পুলিশ দ্বিতীয় এবং হাইওয়ে পুলিশ তৃতীয় হয়েছে।

শিল্ড প্যারেড প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে যৌথ মেট্রো দল। দ্বিতীয় হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে এপিবিএন। বার্ষিক পুলিশ প্যারেড কুচকাওয়াজে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এপিবিএন। দ্বিতীয় হয়েছে যৌথ মেট্রো দল এবং তৃতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।

আমাদেরকাগজ/ এইচকে