রাজনীতি ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০২:৩৪

আমরা জনগনের সাথে ছলচাতুরী কি করলাম, প্রশ্ন কাদেরের

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক,আমাদের কাগজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ কোথায় ছলচাতুরী করেছে, বিএনপির উদ্দ্যেশে সে প্রশ্ন ছুড়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কাদের জানান, আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল উন্নয়ন কাজ করেছে এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। কোনো ছলচাতুরী করেনি।

শনিবার ( ১৭ডিসেম্বের) সকাল ১১টায় ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা জনগণের সাথে ছলচাতুরি কি করলাম? আমরা জনগণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা কথা দিয়েছি আমরা কথা রেখেছি৷'

তিনি বলেন, 'আমরা বলেছিলাম পদ্মা সেতু করব। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে গেলেন। বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়ে চলে গেলে। নেত্রী ঘোষণা দিলেন আমাদের নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব। তখন অনেকে উপহাস করেছিলে, কটাক্ষ করেছিলে, কিন্তু তিনি সেই সিদ্ধান্ত অটুট ছিলেন। আমরা ছলচাতুরি কোথায় করলাম? মেট্রোরেল করবো, ২৮ তারিখ প্রথম অংশের উদ্বোধন। বলেছি রাস্তাঘাট করব, একশ নতুন রাস্তা উদ্বোধন। একদিনে একশো সেতুর উদ্বোধন করেছি। এতগুলো গুগলও পাওয়া যাবে না। ছলচাতুরি কোথায় করলাম? টানেল করবো বলেছি বঙ্গবন্ধু টানেল আমরা করেছি। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়৷'

 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'এই দেশে আওয়ামী লীগই প্রথম সরকার যে সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। শান্তিপূর্ণভাবে এদেশে আর কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি '৭৫ পরবর্তীকালে।'

আওয়ামী লীগ চাতুরী করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, '১৫ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্রের নামে ভোট চুরি। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। ওয়ান-ইলেভেন কি এমনিতে এসেছে? জাতির সঙ্গে ছলচাতুরি বিএনপি করেছে। সবই বিএনপি করেছে। আমরা চাতুরী করিনি।'

লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, 'এই যে একটা বিশ্বকাপ। বিকাল চারটা, রাত ৯টায়, রাত এগারোটায়, রাত একটায়। একদিনে চারটা করে খেলা। সবশেষ। আজ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আগামীকাল ফাইনাল। এই পর্যন্ত কোথাও কি লোডশেডিং হয়েছে? অথচ লোডশেডিং হওয়ার কথা ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭১ এর যে সংকট এক রকম, আজকের আমাদের সংকটা আরেক রকম। তখন আমাদের জনসংখ্যা ছিল কম, তারপরও সমাজ ছিল ঐক্যবদ্ধ। এখন জনসংখ্যাও বেশি, আমাদের আয়ও অনেক বেড়েছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ কমিটির আহবায়ক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।

আমাদের কাগজ/এম টি