শিক্ষা ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:০২

প্রশ্নে ৩৫ বানান ভুল, গা ছাড়া জবাব স্কুল কর্তৃপক্ষের

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির সমাপণী পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নে থাকা ৩৫টি ভুল বানান নিয়ে চলছে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভুলে ভরা এই প্রশ্নপত্রটি। এতেই তোপের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

গত ৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রে সৃজনশীল প্রশ্নে ৩৫টি বানান ভুল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সেই ভুল বানানের প্রশ্ন দিয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, প্রিন্ট করতে গিয়ে ফন্ট ভেঙে যাওয়ায় এমন প্রশ্ন ছাপা হয়েছে। আর অভিভাবকরা বলছেন, প্রশ্ন করা এবং তা শিক্ষার্থীদের হাতে সরবরাহের আগে শিক্ষকদের আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল। জানা যায়, পরীক্ষা শেষে এক ছাত্রের অভিভাবক প্রশ্নপত্রে থাকা ভুলগুলো চিহ্নিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। 

প্রশ্নপত্রটি তৈরি করেন বিদ্যালয়ের দিবা শাখার বাংলা শিক্ষক এস এম আবুল হোসেন। তার দাবি, ঠিকভাবেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে জমা দিয়েছেন তিনি। তার দেয়া প্রশ্নে কোন বানান ভুল ছিল না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে আগের মতো শিক্ষাব্যবস্থা নেই। এখন শুধু কোচিং ব্যবস্থা রয়েছে। এখন শ্রেণিকক্ষে পড়ালেখা বাদ দিয়ে শিক্ষকরা নিজেদের বাসায় কোচিং সেন্টার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এত বড় স্কুলে প্রশ্নপত্রে এত ভুল আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। 

ষষ্ঠ শ্রেণির একাধিক ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৫ তারিখে বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নে বানানগুলো বুঝতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। প্রশ্নে এমনভাবে ‘আ’ কার ও ‘এ’ কার শব্দের সামনে পেছনে ছিল যা আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, বাংলা পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র দেওয়ার পরে ভুলগুলো আমাদের চোখে পড়ে। এই ভুলটি হয়েছে প্রশ্নপত্র ছাপার সময়। প্রেসের লোকজন ফন্ট পরিবর্তন করতে গিয়ে আকার, একারসহ কিছু ফন্ট ভেঙে দিয়েছে। এজন্য প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহি করতে হবে।

Dhaka post

 

প্রসঙ্গত, ১৮৮৭ সালে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুই শাখায় প্রায় ১৭০০ ছাত্র রয়েছে। আর ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছে ২৩৯ জন। 

আমাদের কাগজ/এম টি