রাজনীতি ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৬:৩৯

বর্তমানে কী অবস্থা নয়াপল্টনের?

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ করার চেষ্টা করেছিল। পরে দলটির নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনার পর সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচলসহ জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়।

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর দুপুরের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে রাজধানীর সায়দাবাদের গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় জনগণের ও নেতাকর্মীদের ভিড় কমতে থাকে।

অন্যদিকে গোলাপবাগ মাঠে অনুমতির বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে সমবেত হতে শুরু করেছেন। বিচ্ছিন্নভাবে মাঠে এসে জড়ো হচ্ছেন শত-হাজারো নেতাকর্মী। গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ২টার দিক থেকে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলিতে বিএনপির এক কর্মী নিহত হন এবং বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন। ওই ঘটনায় রাতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই দিনের সংঘর্ষে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খানসহ পুলিশের ৪৭ জন সদস্য আহত হন। এর মধ্যে ১৬ জন রাজারবাগ হাসপাতালে ভর্তি, একজন ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ বাসায় পাঠানো হয়েছে।

সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় চলছে পুলিশের নিরাপত্তা টহল। এখন পর্যন্ত এখান থেকে কোনও ফোর্সকে সরিয়ে নেওয়া হয়নি। তবে আজ বিকালে দেখা গেছে, নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশি পাহারা উঠিয়ে নেওয়া হয়।

কাকরাইল নাইটেঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ের পুলিশের চেকপোস্টেও কিছুটা শিথিলতা দেখা গেছে। এ ছাড়া এই এলাকায় প্রবেশের জন্য বিভিন্ন পকেট গলিতে পুলিশের কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকলেও এখন কিছুটা স্বাভাবিক। বয়স্কসহ সাধারণ মানুষের চলাচলেও কিছুটা শিথিলতা দেখা গেছে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‌বিএনপির সমাবেশ যেখানেই হোক, নয়াপল্টনে এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। হয়তো আগের সে কিছুটা শিথিলতা দেওয়া হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান  বলেন, ডিএমপি থেকে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও পল্টনের নিরাপত্তাব্যবস্থা অটুট থাকবে। এখান থেকে এই মুহূর্তে ফোর্স সরিয়ে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি আগামীকাল সমাবেশ শেষ করে নেতাকর্মীরা ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নয়াপল্টন এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের সরেয়া নেওয়ার জন্য বলা হবে।’


আমাদেরকাগজ/ এইচকে