আইন ও আদালত ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৫:০৯

ফখরুল-আব্বাসকে কারাগারে আটক রাখতে আবেদন  

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাজকে ডেস্ক: ঢাকার নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলার উসকানি ও পরিকল্পনার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন পুলিশ। তবে পুলিশ তাদেরকে রিমান্ডে নেয়ার কোনো আবেদন করেনি। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ৪টা ১২ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের পল্টন থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে পুলিশ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আদালতে আনায় আদালত এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এর আগে দুপুরে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, 'আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৮ তারিখের ঘটনায় তাদের নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করেছি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিএনপির এই দুই নেতাকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপরই তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গেল ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মকবুল নামে বিএনপির একজন কর্মী এবং অনেকে হতাহত হন। তাছাড়া পুলিশের ৪৭ জন সদস্য আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দের তথ্য দেয়। এঘটনার পরেরদিন (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর পল্টন থানা, মতিঝিল থানা, রমনা মডেল থানা এবং শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা হয়। যেখানে বিএনপির তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, রাজধানীতে শত উদ্দীপনার পর আগামীকাল শুরু হতে যাচ্ছে সমাবেশ। তবে নয়াপল্টন নয়, রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি।
 

আমাদের কাগজ/এম টি