রাজনীতি ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০১:০৪

জিজ্ঞাসাবাদে যা যা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ফখরুল-আব্বাসকে

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল আলমগীর ও মির্জা আব্বাস দুজ্নকে ইতিমধ্যে আমাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আমরা তাদের এখানে রেখেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলতে পারব তাদের বিষয় কি সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল আলমগীর ও মির্জা আব্বাস দুজনেই আমাদের ডিবি কার্যালয়ে আছেন। তাদেরকে আনা হয়েছে এবং কিছু বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বল  করে আমি তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।

 

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, দুইদিন আগে যে উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। একজন মারাও গেছে। সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। সবকিছু মিলিয়েই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা তাদের বিষয়ে পরবর্তীতে জানাতে পারব।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, গতকাল বিএনপির যে প্রতিনিধিদল এসেছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। বৈঠকে তারা দুটি প্রস্তাব করেছেন। আমরা দুটি প্রস্তাবই মেনে নিয়েছি। তারা বলেছিল, জনসমাবেশ করতে চায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে। আমরা তখন আরেকটি স্থান বাঙলা কলেজের কথা বলেছি। দুটি স্থানই তারা দেখেছেন। এরপর আমরা মোটামুটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি- যেহেতু কমলাপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা রয়েছে। সেখানে মাঠটি নষ্ট হয়ে যাবে। সে কারণে আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে জনসমাবেশটি করবে মিরপুর বাঙলা কলেজে। এটাই অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। এছাড়া মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের আরেক সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

তারা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার কিছুক্ষণ পর রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও শাহজানপুরের নিজ বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত আমরা সেটা জানি না।

উল্লেখ্য, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান শেষে বিএনপির কার্যালয় থেকে ১৬০ বস্তা চাল, খিচুড়ি, রান্নার উপকরণ এবং অবিস্ফোরিত ১৫টি বোমা উদ্ধারের কথা জানানো হয়। বিএনপির আলোচিত ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের এক দিন বাকি থাকতেই শীর্ষ দুই নেতাকে আটকের ঘটনা ঘটলো। যদিও এখন পর্যন্ত সমাবেশের স্থান নিয়ে চলছে আলোচনা।

আমাদের কাগজ/এম টি