বিনোদন ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০১:২২

অভিনেতা খলিলের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিনোদন প্রতিবেদক: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া বরেণ্য অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আবুল ফজল মোহম্মদ খলিল উল্লাহ খান ষাটের দশকের বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন। তিনি চলচ্চিত্র ছাড়াও টেলিভিশন নাটকেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

খলিল উল্লাহ খানের রূপালি জীবন পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। অভিনয় করেছিলেন প্রায় আটশ সিনেমায়। এতো বেশি সিনেমায় অভিনয় করা শিল্পী ঢালিউডে খুব কমই আছেন। এছাড়া টিভি পর্দায়ও তার সাফল্য উল্লেখযোগ্য। বিটিভির বিখ্যাত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’-এ মিয়ার ব্যাটা চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি।

১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জন্ম খলিল উল্লাহ খানের। তার পুরো নাম আবু ফজল মোহাম্মদ খলিল উল্লাহ খান। বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে সিলেট, কৃষ্ণনগর, বগুড়া, নোয়াখালী বিভিন্ন জায়গায় থেকেছেন। তবে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো তিনি সিলেট থেকেই সম্পন্ন করেছেন।

১৭ বছর বয়সে আর্মি কমিশনে যোগ দিয়ে পাকিস্তানের কোয়েটায় চলে যান। সেখান থেকে এক বছর পর ফিরে যুক্ত হন আনসারে। মাঝে অনেক বছর তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল অব্দি টানা তিনি আনসারের সদস্য ছিলেন।

চাকরির পাশাপাশি অভিনয়ের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে গেছে খলিল উল্লাহ খান। ১৯৫৯ সালে ‘সোনার কাজল’ ছবির মাধ্যমে তার সিনে ক্যারিয়ার শুরু হয়। এই ছবিতে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে কাজল (১৯৬৫), ক্যায়সে কাহু (১৯৬৫), ভাওয়াল সন্ন্যাসী (১৯৬৫), বেগানা (১৯৬৬) জংলী ফুল (১৯৬৮) ইত্যাদি ছবিতে নায়কের চরিত্রে কাজ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেন গুণী এই শিল্পী।

সিনে অঙ্গনের নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন খলিল উল্লাহ খান। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুণ্ডা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন খলিল উল্লাহ খান। ২০১২ সালে তাকে এই পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আমাদেরকাগজ/ এইচকে