রাজনীতি ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:০৭

সোহরাওয়ার্দীতে ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন শুরু হবে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায়।

সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। এরই মধ্যে প্রার্থীদের আবেদনপত্র নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নতুন কমিটি হবে।’

 

দীর্ঘ চার বছর পর শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম এ জাতীয় সম্মেলন। সংগঠনের শীর্ষ দুই পদে নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রার্থী রয়েছেন তিন শতাধিক। সম্মেলন ঘিরে নানা রংয়ের পোস্টার-ব্যানারে সেজেছে গোটা রাজধানী। লবিং-তদবিরে ব্যস্ত পদপ্রত্যাশীরা। তবে নেতা চূড়ান্ত করবেন সংগঠনের অভিভাবক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে প্রতিটি মুক্তি আন্দোলনে ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ। তবে গত দুই দশকে নানা অপকর্ম ও বিতর্কে জড়িয়েছে সংগঠনটি, যা থেকে বের হতে পারেনি বর্তমান কমিটিও।

তবে নেতা চূড়ান্ত করবেন সংগঠনের অভিভাবক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে প্রতিটি মুক্তি আন্দোলনে ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ। তবে গত দুই দশকে নানা অপকর্ম ও বিতর্কে জড়িয়েছে সংগঠনটি, যা থেকে বের হতে পারেনি বর্তমান কমিটিও।

বিরোধী মতাদর্শ এবং কমিটি বাণিজ্য ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠেছে জয়-লেখকের বিরুদ্ধেও। কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্মেলনের দাবি উঠলেও মহামারি করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। অবশেষে সম্মেলনের দিন-তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন ও ডাকসু কেন্দ্রিক আনাগোনা বাড়ে ছাত্রলীগ নেতাদের।

এছাড়া সংগঠনটির শীর্ষ নেতা হওয়ার দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ছাত্রনেতারা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ছাত্রলীগ হবে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষের পাশে ছিল এমন নেতৃত্ব বেছে নেবেন সংগঠনটির প্রধান, বলছেন পদপ্রত্যাশীরা।

এদিকে বরাবরই দেখা গেছে, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচন করা হয়। এবারের সম্মেলনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেতৃত্ব বাছাইয়ের তাগিদ ছাত্রনেতাদের। সুনির্দিষ্ট কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়, মেধা, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতাই মুখ্য বিষয় হবে বলে জানান নীতি নির্ধারক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।

ছাত্রলীগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ নভেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহ এবং জমা দেওয়া শুরু হয়। যা ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। সংগঠনের দুই শীর্ষ পদের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেছেন। সভাপতি পদে ৯৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আমাদের কাগজ/এম টি