আন্তর্জাতিক ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৫:৩৩

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই বৃষ্টি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সেমেরুর জ্বালামুখে উদগীরণের ঘটনা ঘটেছে। জাভা দ্বীপের পূর্বাংশে এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত জারি করেছে। “ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়নের জন্য মাউন্ট সেমেরুর কাছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার দল মোতায়েন করা হয়েছে। বেশির ভাগ রাস্তা আজ সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এখন আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই বৃষ্টি হচ্ছে। ছাই বৃষ্টির তীব্রতা এত বেশি যে, এর ফলে পাহাড় আমাদের দৃষ্টির বাইরে চলে গেছে। তবে আজ তুলনামূলক কম থাকায় নিরাপত্তার শঙ্কা কিছুটা কমেছে।”

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, তিন হাজার ৬৭৬ মিটার আগ্নেয়গিরিটিতে শনিবার স্থানীয় সময় পৌনে ৩টার দিকে উদগীরণ শুরু হয়। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং বিমান চলাচলে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। ৬ গ্রামের বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিমান ভ্রমণ প্রভাবিত হয়নি। তবে তাদের সতর্ক থাকার জন্য স্থানীয় দুটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, ১ হাজার ৯৭৯ জন মানুষকে আশপাশের ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেছে। এদিকে, জাপানের মিটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আগ্নেয়গিরিটি সুনামি সৃষ্টি করতে পারে সেই আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। 

সংস্থাটি বলেছিল, আগ্নেয়গিরির ছাই ১৫ কিলোমিটার বা প্রায় ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। গত বছর জাভার সর্বোচ্চ পর্বত সেমেরুতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এর আগে, দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে ৬৪০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্পের গত মাসেও ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল।

প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের “রিং অব ফায়ার” এ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান। যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলো ক্রমাগত ঘঁষা খাচ্ছে। ফলে দেশটিতে নিয়মিত আগ্নেগিরি থেকে উদগীরণ হতে দেখা যায়। ভূমিকম্পও নিয়মিত ঘটনা সেখানে। সেমেরু পর্বতটি “দ্য গ্রেট মাউন্টেন” নামেও পরিচিত। এটা জাভার সবচেয়ে উঁচু এবং সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি।

আমাদেরকাগজ/ এএইচ