খেলাধুলা ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৫৫

পোল্যান্ডকে উড়িয়ে শেষ আটে ফ্রান্স

স্পোর্টস ডেস্ক: মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। তবে বিশ্বকাপে একবারের মোকাবিলার ইতিহাস উজ্জীবিত করছিল পোল্যান্ডকে। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল পোলিশরা। তবে সেই হারের বদলাটা দেরিতে হলেও নিল ফ্রান্স। রোববার কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে শেষ আটে উঠে এসেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে জোড়া গোল এমবাপ্পের। অপর গোলটি রেকর্ড গড়া জিরুদের।

আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের কর্ণারে হেডটা ভালোমতো নিতে পারেননি রাফায়েল ভারানে। ১৩ মিনিটে চুয়ামেনির শট কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পোলিশ গোলরক্ষক স্ট্যাসনি। এর মিনিট চারেক পর উসমান দেম্বেলের শট সহজেই আটকান তিনি।
২১ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে পোল্যান্ডের তারকা ফুটবলার লেভানদোভস্কির শট চলে যায় ফ্রান্সের পোস্টের বাইরে। ২৯ মিনিটে গোল পেতে পারত ফ্রান্স। কিন্তু দেম্বেলের পাসে ছুটে গিয়ে বলের নাগাল পাননি জিরুদ। যদিও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।

৩৮ মিনিটে প্রায় গোলের দেখা পেতে যাচ্ছিল পোল্যান্ড। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে জেলিনস্কির শট পা দিয়ে ফেরান ফরাসি গোলরক্ষক লরিস। ফিরতি বলে জেলিনস্কির আরেকটি প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় ফরাসি রক্ষণভাগে।

৪৪ মিনিটে পোল্যান্ডের জালে প্রথম গোল ফ্রান্সের। এমবাপের পাসে দারুণ শটে গোলটি করেন অলিভার জিরুদ। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষে বসেন তিনি। জিরুদের মোট গোল এখন ৫২টি। এই ম্যাচে মাঠে নেমে ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪২ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী লিলিয়ান থুরামের পাশে বসেন গোলরক্ষক লরিস।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুরন্ত ফ্রান্স। জিরুদের পর এই অর্ধে চমক দেখান তুখেড়া স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। পাল্টা আক্রমণে ৭৪ মিনিটে দেম্বেলের পাসে নয়নকাড়া শটে পোলিশ গোলরক্ষককে পরাজিত করেন তিনি। ২-০ ব্যবধানে লিড নেয় ফ্রান্স।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে থুরামের পাসে আবার এমবাপে ঝলক। এবারও নিখুত শট। নাগাল পাননি পোলিশ গোলরক্ষক। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স তখন জয়ের অপেক্ষায়। শেষ মুহর্তে হ্যান্ডবলের জন্য ভিআরএর বদৌলতে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। প্রথম শটে গোল করতে পারেননি লেভানদোভস্কি। ঝাপিয়ে রক্ষা করেন লরিস। তবে এই স্পট কিক বাতিল হয়ে যায় লরিস গোললাইনে না থাকার কারণে। পুনরায় কিক নিয়ে সফল লেভা। ব্যবধান কমে আসে ৩-১ এ। তারপরও দারুণ জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে ফরাসি শিবির।

কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ শেষ ষোলোয় ইংল্যান্ড-সেনেগাল ম্যাচ জয়ী দল। আগামী ১০ ডিসেম্বর হবে কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচটি।