আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল হেডকোয়ার্টারে আসিম মুনিরের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ‘প্রতীকি পদমর্যাদামূলক ক্ষুদ্র লাঠি’ তুলে দেন জেনারেল বাজওয়া। এরমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হন মুনির। গত ২৪ নভেম্বর সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বলেন, আমি নিশ্চিত সেনাপ্রধান হিসেবে আসিম মুনিরের নিয়োগ সেনাবাহিনী ও দেশের জন্য ইতিবাচক হবে।
তিনি আরও বলেন, আসিম মুনির একজন পেশাদার এবং যোগ্য সামরিক অফিসার। তিনি জানান, তার বিশ্বাস আসিম মুনিরের অধীনে সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে আরও বেশি সুরক্ষিত রাখতে পারবে।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাজওয়া বলেন, তিনি ছয় বছর সেনাপ্রধান থাকাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী জঙ্গিবাদ, সীমান্ত রক্ষা এবং অনেক প্রাকৃতিক বিপর্যয় সফলতার সঙ্গে সামাল দিয়েছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহির শামসেদ মির্জা, বিমান বাহিনীর প্রধান জহির আহমেদ বাবর সিন্ধু, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিদেশি কূটনীতিকরা।
জেনারেল জাভেদ বাজওয়া ছয় বছর সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি ইমরান খান ও তার সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ইমরান ও তার সমর্থকদের দাবি, গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে আস্থাভোটে পিটিআই প্রধানের পরাজয়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল। সেনাবাহিনী বরাবর এ ধরনের ভূমিকার কথা অস্বীকার করে আসছে।
ইমরান খানের সিনিয়র উপদেষ্টা আসাদ উমর মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) এক টুইট বার্তায় বলেন, জেনারেল আসিম মুনিরের প্রথম অগ্রাধিকার হবে দেশ ও সামরিক নেতাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা।
পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। এসব কিছুর অবসান ঘটিয়ে আসিম মুনিরকে নতুন প্রধান হিসেবে মনোনীত করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর আগে তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্স (আইএসআই) এবং মিলিটারি ইন্টিলিজেন্সে (এমআই) কাজ করেছেন।
আমাদের কাগজ//টিএ
