আন্তর্জাতিক ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ১২:১৫

নিহত রুশ সেনার মায়েদের যা বললো পুতিন

ছবি:বিবিসি

ছবি:বিবিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের মায়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনাদের কষ্টের ভাগীদার আমরা। কোনো কিছুই পুত্র হারানোর ক্ষতিকে পুষিয়ে দিতে পারে না।’ ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পূর্বে ধারণ করা রুশ সেনাদের মায়েদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের এ বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার মস্কোতে প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বাসভবনে পুতিনকে ১৭ জন মায়ের সঙ্গে একটি বড় টেবিলে বসে থাকতে দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে কারও কারও মাথায় শোকের প্রতীক হিসেবে গাঢ় স্কার্ফ দেখা দেখা গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে সেনাদের মায়েরা পুতিনের কাছে সরাসরি অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, প্রচণ্ড শীতের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ছাড়াই, পর্যাপ্ত অস্ত্র ছাড়াই সেনাদের যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে। অনেক মা বলেছেন, রুশ সামরিক বাহিনী জোর করে সৈন্যদের কামানের খাদ্যে পরিণত করেছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ওই সব মাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাদের জানাতে চাই, ব্যক্তিগতভাবে আমি এবং দেশের সব নেতৃত্ব মিলে আমরা এ ব্যথা বোধ করতে পারছি।’ যুদ্ধে সন্তান হারানো একজন মাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ ভদকা খেয়ে মারা যান এবং অগোচরে জীবন কাটিয়ে দেন, কিন্তু আপনার ছেলে সত্যিকারের জীবন কাটিয়েছে এবং লক্ষ্য অর্জন করেছে। তার মৃত্যু বৃথা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, মাঝেমধ্যেই তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে নিযুক্ত রুশ সেনাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। এসব সেনাকে বীর বলে উল্লেখ করেন তিনি।।

মায়েদের উদ্দেশ্যে পুতিন বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এবং দেশের সমস্ত নেতারা আপনাদের কষ্টের ভাগীদার।’ নিহত এক সেনার মাকে তিনি বলেছেন, ‘সে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে। সে অনর্থক মারা যায়নি। টেলিভিশন বা ইন্টারনেটের ভুয়া কথায় বিশ্বাস করবেন না।’

গণমাধ্যমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ক্রেমলিন। ফলে ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে সব খবর সঠিকভাবে পায় না রাশিয়ার নাগরিকেরা। তবে অনেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে খবরের সন্ধান করেন।

পুতিনে সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া নারীরা রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছিলেন। এদের মধ্যে একজন পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক থেকে এসেছিলেন, যেটিকে স্বাধীন ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া রুশ সমর্থিত অল-রাশিয়ান পপুলার ফ্রন্টের একজন সদস্য এবং কমব্যাট ব্রাদারহুড সংস্থার একজন সদস্যও ছিলেন। এ দুটি সংস্থা রুশ সেনাদের জন্য মানবিক সহায়তা সংগ্রহ করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে সিনিয়র জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ লাখ রুশ সেনা এবং ১ লাখ ইউক্রেনের সেনা হতাহত হয়েছে।

 

আমাদের কাগজ//টিএ