সারাদেশ ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:৪৮

গুড়-পাটালির ব্যাপক চাহিদা,কমছে খেজুর গাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নড়াইলে দিন দিন খেজুর গাছ কমছে। যে গাছগুলো আছে তাতে মিলছে না তেমন রস । বাজারে খেজুর গুড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও জোগান নেই। কারণ খেজুরের গুড় তৈরির কাঁচামাল খেজুরের রসের সংকট। চাহিদার সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্য না থাকায় ভেজাল গুড়ে সয়লাব হচ্ছে বাজার। এতে খেজুর গুড়ের আসল স্বাদ হতে বঞ্চিত হচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম।

নড়াইলে শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে খেজুর গাছ প্রস্তত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা। কদিন পরেই গাছ থেকে গাছিদের প্রক্রিয়াজাত করা খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হবে গুড় ও পাটালি। এজন্য গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে গাছিদের।

লোহাগড়া উপজেলার বয়রা গ্রামের গাছি মশিয়ার শেখ বলেন, ‘প্রতিবছর শীতকাল এলেই খেজুর গাছ কাটার (রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করা) কাজ করি। আমি নিজের গাছ কাটার পাশাপাশি অন্যের গাছও কাটি। গাছ কাটলে টাকা পাই। গাছপ্রতি ১০০ টাকা পাই। গতবছরের তুলনায় এবার একটু বেশি টাকা পাচ্ছি।’

বয়রা গ্রামের মিলন শেখ বলেন, ‘শীতকালে খেজুরের রস না হলে আমাদের একদমই চলে না। শীতের বিভিন্ন পিঠা-পায়েসের জন্য খেজুরের গুড় অপরিহার্য। তবে ইটভাটায় বিক্রির কারণে দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’

নড়াইল সদর উপজেলার গোপিকান্তপুরের গাছি মতিন বেগ জানান, তিনি ২০ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটেন। বাজারে খেজুর গুড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গুড় উৎপাদন করতে পারছেন না তারা।

উপজেলার সরসপুর গ্রামের গাছি রতন দাস জানান, সিজেনেও (মৌসুমি) আগের মতো রস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চাহিদা থাকলেও তার পর্যাপ্ত গুড় উৎপাদন করতে পারছেন না। এলাকায় গাছ অনেক কমে গেছে। যা আছে তাতেও আগের মতো রস হয় না।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায় বলেন, নড়াইলের মাটি খেজুর গাছের জন্য খুবই উপযুক্ত। তবে দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের উদ্যোগে জনসাধারণকে খেজুর গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

আমাদেরকাগজ/ এএইচ