নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দেবে ব্রুনাই। বাংলাদেশ ১৫ বছরে মেয়াদী এলএনজি আনতে চায়। আর বাকিতে আনতে চায় ডিজেল।
বৃহস্পতিবার ব্রুনাইয়ের রাজধানী দারুসসালামে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে দ্বি-পাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ব্রুনাইর পক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্বালানি উপমন্ত্রী ইয়ং মুলিয়া দাতো সেরি পাদুকা আয়ং হাজী মাতসাটেজা বিন সোকাইয়া নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। এলএনজি, ডিজেল ও অন্যান্য জ্বালানি পণ্য সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাই বছরে ১০ থেকে ১৫ লাখ টন এলএনজি ২০২৩ সালের প্রথম থেকেই পেতে চাচ্ছি। ১০ থেকে ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি হতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্রুনাই হতে গড়ে দুই লাখ ১০ হাজার টন ডিজেল বাকিতে আমদানির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন করে চুক্তি করতে হবে। ব্রুনাই জ্বালানি সহযোগিতা ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে সম্মত হয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্রুনাই থেকে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মোট তিন লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ টন ডিজেল আমদানি করে। গত ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে মধ্যে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম সরবরাহে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্রুনাইয়ের জ্বালানি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম বিন ইজমি, দেশটির পেট্টোলিয়াম অথোরিটির পরিচালক আড্রিয়াম ওয়াং কাই মিং, জ্বালানি বিভাগের জ্বালানি অংশীদারিত্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাজী মো. জাকি বিন হাজী হাসানুল আস’সারি উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশের পক্ষে জ্বালানি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আযাদ, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক যাবেদ চৌধুরী ও ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের কাগজ/টিআর