নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি পাবলিক টয়লেট থেকে মো. সুজন হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের ভাষ্য, শুক্রবার বাসা থেকে বের হয় সে। এরপর আর ফিরে আসেনি। সে একটি ভাঙারি (পুরাতন জিনিসপত্র কেনা-বেচার দোকান) দোকানের কর্মচারী ছিল বলে জানা গেছে। গত কাল কলাপট্টি সংলগ্ন মসজিদের পাশে পাবলিক টয়লেট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জাতীয় জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯-এ খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ।
মৃত সুজনের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা গ্রামে। তার বাবা আবু তাহের পেশায় রিকশাচালক। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট। কদমতলী থানার পূর্ব ধোলাইপাড় ৩ নম্বর গলিতে পরিবারটির বসবাস।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাহিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার বিকেলে পাবলিক টয়েলেটের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি।
গণশৌচাগারে দায়িত্বরত কর্মীর বরাতে এসআই আব্দুর রহিম বলেন, ওই যুবক খুবই ক্লান্ত অবস্থায় এসে বাথরুমে যেতে চায়। দায়িত্বরত কর্মী তাকে বাথরুম খুলে দিলে সে ভেতরে গিয়ে মাথায় পানি দেয়। ১০ মিনিট পরেও বের না হলে বাইরে থেকে তাকে ডাকা হয়। কিন্তু কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।
বিষয়টি ৯৯৯-এর মাধ্যমে জানানো হলে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে বাথরুম থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এসআই আব্দুর রহিম বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবারের লোকজনের ঠিকানা বের করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ওইদিন দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, মৃতের ভাই মামুন ও বাবা তাহেরের ভাষ্য, শুক্রবার হাসনাবাদ এলাকায় যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয় সুজন। পরদিন (শনিবার) বিকেলে ফোন করে জানায়, রবিবার সে বাসায় আসবে। কিন্তু সে আর আসেনি।
“পরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পাই, সুজন নামে একটি ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে সেখানে গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করি।”
আমাদেরকাগজ/এএইচ