আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশে পৃথক দুই বন্দুক হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) খুজেস্তান ও ইসফাহান প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটি রাষ্ট্রিয় গণমাধ্যম।এ হামলা কোনো জঙ্গি সংগঠন চালিয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ইরানের সরকার এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
গত মাসে দরগাহে হওয়া হামলার সঙ্গে এ হামলার মিল রয়েছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইসলামিক স্টেট। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের হামলার সঙ্গেও জঙ্গি সংগঠনটির সম্পর্ক রয়েছে।
আরব নিউজ জানিয়েছে,হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে গেছে। প্রথমে হামলা চালানো হয় খুজেস্তান প্রদেশে। একটি বাজারের সামনে গুলির ঘটনায় অন্তত সাত জন নিহত এবং ১০ জন আহত হন। এ হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকা সন্দেহে অন্তত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার একজন ঊর্ধ্বতন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা।
এছাড়া আরও কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে। এই হামলার চার ঘণ্টা পর ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইস্ফাহানে আরও একটি বন্দুক হামলা হয়। একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুই হামলাকারী বাসিজ আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি চালায়।এতে দুইজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়।
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছিল, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী খুজেস্তানের কেন্দ্রীয় বাজারের সামনে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশের সুযোগ নিয়ে লোকজন এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উপর গুলি চালিয়েছে। দুটি মোটরসাইকেলে চড়ে আততায়ীরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইজেহ শহরের একটি কেন্দ্রীয় বাজারে গুলি চালায়। ওই ঘটনায় তখন পাঁচজন নিহত এবং ১০ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছিল ইরনা। তবে পরে নিহতের সংখ্যা সাতে গিয়ে দাঁড়ায়।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে উত্তাল ইরান। দেশটির প্রধান শহরগুলোতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে। কুর্দি তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া সেই বিক্ষোভ থামার কোনো লক্ষণ নেই। এই অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে ইরানে। গত মাসে একটি দরগাহে গুলির ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। এরপর আবার এই গুলির ঘটনা ঘটলো।
আমাদের কাগজ//টিএ