অপরাধ ও দুর্নীতি ১০ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:৫১

 বেনামি কারখানায় তৈরি হয় নামি কোম্পানির ওষুধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারীর সৈয়দপুরের বেনামি বিভিন্ন কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে দেশের নামিদামি ওষুধ কোম্পানির ওষুধ। এরমধ্যে সব থেকে বেশি তৈরি হচ্ছে গ্যাসের ওষুধ। এসব ওষুধ প্রত্যন্ত এই এলাকা থেকে আসে ঢাকায়। পরে সেগুলো দেশের বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি হয় বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

গত মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকারী ইকবাল হোসেন ওরফে রানা (৩৬) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মতিঝিল ডিআইটি এক্সটেনশন রোডের হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনালের সামনে মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানাকে একটি ওষুধের কার্টনসহ আটক করা হয়। কার্টনের ভেতর কী আছে, জানতে চাইলে সে জানায় ওষুধ আছে। পরে কার্টন খুলে তার ভেতর থেকে কিছু ভেজাল ওষুধ পাওয়া যায়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এসএ পরিবহন ইংলিশ রোড শাখা থেকে দুই কার্টন ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়।’

পরে আরও কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার রনির ভাড়া করা গোডাউন থেকে বিভিন্ন নামিদামি ওষুধ কোম্পানির ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পিস ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবির প্রধান জানান, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের আতিয়ারের থেকে বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে এসব ওষুধ সংগ্রহ করে কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় গোডাউনে সংরক্ষণ করে সে। তারপর সময়-সুযোগ বুঝে রানা নিজে ও বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে থাকে।

এই ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকারী চক্রের অন্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে। গ্রেফতার রনির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলাও করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. রাজীব আল মাসুদ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এডিসি হাফিজ আল আসাদ উপস্থিত ছিলেন।

আমাদেরকাগজ/  এএইচ