লাইফ স্টাইল ৯ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:১৪

যে ৭ কারণে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়

আমাদের কাগজ ডেস্ক: প্রজনন ক্ষমতা একজন পুরুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়। শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস এবং শুক্রাণুর সংখ্যা পুরুষ বন্ধ্যাত্বের প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। একটি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, পুরুষরা ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী।

প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণুর সংখ্যা দেড় কোটি বা দেড় কোটির কম হলে স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ব্যস্ত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক ও মানসিক চাপের কারণে বন্ধ্যাত্ব একটি অতি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যে কারণে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে

মানসিক চাপ

প্রজনন ক্ষমতা বাড়ার পথেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য বাধা মানসিক চাপ। কারণ মানসিক চাপগ্রস্ত অবস্থায় শরীরের যে হরমোনগুলো নিঃসৃত হয়, সেগুলো প্রজনন ক্ষমতাকে দমিয়ে রাখে। নারী-পুরুষ উভয়ই শিকার হন। ফলে গর্ভধারণ জটিল হয়ে ওঠে।

যৌনসঙ্গম সংক্রান্ত সমস্যা

অনিরাপদ যৌনসঙ্গমের কারণে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ’র আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের সংক্রামক রোগগুলো নিজের জীবনের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি পৃথিবীতে নতুন জীবন নিয়ে আসার জন্যও ক্ষতিকর। বেশিরভাগ যৌনরোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেয়া হয় না সময় মতো। ফলে তা প্রজনন তন্ত্রকেই নষ্ট করে ফেলে।

ধূমপান

ধূমপানে অন্যান্য ক্ষতির পাশাপাশি প্রজনন ক্ষমতাকে মারাত্মক হারে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কালেভদ্রে ধূমপান করা, এমনকি ধূমপায়ীর আশপাশে থাকার কারণেও পরোক্ষ ধূমপান প্রজনন ক্ষমতার ক্ষতি করে। এর ফলে পুরুষের বীর্জের মান কমে যায়।

রাসায়নিকের ব্যবহার

বাতাসের বিভিন্ন দূষিত উপাদান, কীটনাষক ইত্যাদিতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান প্রজনন ক্ষমতা কমাতে ভুমিকা রাখে। গৃহস্থালীর যেকোনো পণ্য কেনার সময় দেখে নিতে হবে এতে পিসিবি, থ্যালেটস, ফুরান ইত্যাদি আছে কি না। এই উপাদানগুলোই বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির জন্য দায়ী।


অতিরিক্ত কফি পান

চা কফি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে দিনে তিন থেকে চার কাপের বেশি কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা এখনই কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে প্রবেশ করলে তা শুক্রাণুর উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

অলস জীবনযাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বসে থাকা জীবনযাপনের ফলে শুক্রাণুর গুণমান, পরিমাণ এবং স্ট্যামিনা কমে যায়। ফলে প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

স্থুলতা

সাধারণ বিএমআই বিভাগের পুরুষদের তুলনায় স্থুল পুরুষদের বীর্যের গুণমান কম থকে। এছাড়া স্থুল মানুষের শুক্রাণুর ডিএনএ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আমাদেরকাগজ/এইচএম