আন্তর্জাতিক ৫ নভেম্বর, ২০২২ ০২:৪২

ইলন মাস্কের এই বক্তব্যে যে কারণে হতাশ প্রেসিডেন্ট বাইডেন

ছবি:রয়টার্স

ছবি:রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম টুইটার অধিগ্রহণ নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইলিনয়েসের রোসেমন্ট শহরে আয়োজিত এক তহবিল সংগ্রহ সভায় বাইডেন বলেন, ‘আমরা সবাই দেখছি, মাস্ক এমন একটি সরঞ্জাম কিনেছেন—যা বিশ্বজুড়ে মিথ্যা ছড়াচ্ছে। আমরা সবাই এতে শঙ্কিত; কারণ আমেরিকায় এখন আর কোনো সম্পাদক নেই…কোনো সম্পাদক নেই।’

টুইটারকে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্বর্গ’ হিসেবে গড়ে তুলতে ইলন মাস্কের ঘোষণাকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, ‘আমাদের বাচ্চারা এখন ঝুঁকিতে রয়েছে; তারা যে টুইটারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারটি বুঝবে তা আমরা কীভাবে আশা করব?’

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের জানান, টুইটার কেনার পর এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে নতুন করে সাজানোর ব্যাপারে মাস্ক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে প্রেসিডেন্ট হতাশ হয়েছেন।

ক্যাথরিন জিন-পিয়েরে বলেন, ‘ইলন মাস্কের এই বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট হতাশ হয়েছেন। কারণ তিনি প্রত্যাশা করেন টুইটার, ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের প্ল্যাটফর্মে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, কন্টেন্ট এবং ভুয়া সংবাদ ছড়ানো রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবে।’

গত ২৮ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পর ইলন মাস্ক বলেছিলেন, তিনি চিন্তা ও মতপ্রতাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ও টুইটারকে একটি সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চান।

এ সম্পর্কে এক বার্তায় বিশ্বের শীর্ষ এই ধনী বলেন, ‘আমাদের এই প্ল্যাটফর্ম অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ হবে এবং সবাইকে স্বাগত জানাবে। এটা এমন একটি জায়গা হবে, যেখানে প্রত্যেক ব্যবহারকারী তার নিজ নিজ পছন্দের ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন।’

২৮ অক্টোবর মালিকানা গ্রহণের পরপরই টুইটারের শীর্ষ নির্বাহী পরাগ আগারওয়ালসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন মাস্ক। তারপর গত ৮ দিনে কোনো পূর্বনোটিশ না দিয়ে ঢালাওভাবে কর্মী ছাঁটাই করে চলেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। শনিবার এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিনে টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।

 

সূত্র: রয়টার্স

আমাদের কাগজ//টিএ