নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর কারণে ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলেই কৃষকদের ধান কাটার নির্দেশ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এ কথা জানান কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা গৃহিত হয়।
সভায় যেসকল নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে-
১. জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতর, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল এবং সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ।
২. সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলতে হবে।
৩. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে।
৪. ঘুর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে।
৫. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
৬. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত করে রাখা, যাতে করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়া করা যায়।
৭. যেসব এলাকায় আমন ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে সেগুলো কাটার জন্য পরামর্শ দিতে হবে।
৮. উপকূলীয় এলাকায় ফসল ক্ষেতে পানি প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক সমন্বয় করতে হবে।
১০. স্লুইস গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য ক্ষেতে প্রবেশ রোধ করতে হবে। অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ), অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মহাপরিচালক (বীজ) সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, সংস্থা প্রধান, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলাসমূহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালকরা যুক্ত ছিলেন।
আমাদেরকাগজ/এইচএম