সারাদেশ ১০ অক্টোবর, ২০২২ ০৭:২৩

আইনজীবীদের সাথে বাবুলের এক ঘণ্টা 'একান্তে' আলাপ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি, তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার তার আইনজীবীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ‘একান্তে’ আলাপ করেছেন। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুল হাসান জানান, আদালতের অনুমতি নিয়ে আইনজীবীরা তার কক্ষে বসেই বাবুল আক্তারের সাথে আলাপ করেন।

মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই যে য়া অভিযোগপত্র দিয়েছে, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল হালিম এদিন তা গ্রহণ করেছেন।

বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবীরা আইনগত বিষয়ে 'একান্তে' কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি চান। আদালত অতিরিক্ত পুলিশ উপ-কমিশানরের (প্রসিকিউশন) কক্ষে তাদের কথা বলার অনুমতি দেন।

বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ পরে বলেন, উনার (বাবুল) কাছে আমরা জানতে চেয়েছি, কী ঘটেছিল? ঘটনার দিন তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন না। উনার বক্তব্য হচ্ছে, মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় উনি জড়িত নন। উনার সাথে কথা বলে আমরাও সন্তুষ্ট যে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে উনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণযোগ্য নয়।

একান্তে আলাপের কারণ জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, বাবুল আক্তারের সঙ্গে মামলার বিষয় নিয়ে তাদের ‘দীর্ঘদিন’ কোনো কথাবার্তা হয়নি, সে কারণেই আদালতের অনুমতি চেয়েছিলেন।  আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে আমরা এক ঘণ্টা উনার সাথে কথা বলি। আইনগত বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। মামলা পরিচালনায় আমরা এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তাতে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন তিনি।

উচ্চ আদালতে বাবুলের আইনজীবী শিশির মনির, আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ, সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে প্রশ্ন করলে গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, “মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বাবুল আক্তার অন্য আসামি মুছা ও কালুর সাথে মিলে মিতু হত্যার ষড়যন্ত্র করেছেন। তাহলে মুছা ও কালু কোথায়? আমরা আদালতের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করব।

শুনানির জন্য তিনটি আবেদন আমরা করেছিলাম। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, এ ঘটনায় হওয়া দ্বিতীয় মামলাটির (মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা) কিছু বিষয় প্রথম মামলায় (বাবুল আক্তারের করা মামলা, যে মামলায় তিনি এখন আসামি) অন্তর্ভুক্ত করতে ইতোপূর্বে আদেশ দিয়েছিল আদালত। 

যেহেতু একই ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না, তাই দ্বিতীয় মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। প্রথম মামলাটি চালু রাখার আদেশ দেন আদালত। আমরা উচ্চ আদালতের বিভিন্ন আদেশ ও নজির উদ্ধৃত করে শুনানিতে বলেছি, যেহেতু দ্বিতীয় মামলাটি চলছে না, তাই সে মামলার অংশ প্রথম মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। আদালত এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

বাবুল ও তার আইনজীবীদের আলাপের বিষয়ে প্রশ্ন করলে এডিসি প্রসিকিউশন মো. কামরুল হোসেন বলেন, “উনারা আমার কক্ষে কথা বলেছেন। আমি ছিলাম। তবে উনাদের কথোপকথন আমি শুনিনি।

এছাড়া সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে বাবুল আক্তারকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দিতে সোমবার আদালতে আবেদন করা হয়। 

 

টিআর