জাতীয় ১০ মার্চ, ২০২১ ০৮:৫৯

আকাশপথে কমেছে আইন লঙ্ঘন

ডেস্ক রিপোর্ট

করোনা পজিটিভ যাত্রী পরিবহন, করোনা সনদ ছাড়া যাত্রী নিয়ে আসা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সনদের যাত্রী পরিবহনের দায়ে গত তিন মাসে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে ৮৭টি মামলা দায়ের করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ। এ সময় আইন লঙ্ঘনের অপরাধে ৩৯টি মামলায় ১৭টি এয়ারলাইন্সকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করায় ৪৮টা মামলায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় সৌদি এয়ারলাইন্স ও কাতার এয়ারওয়েজকে। আইন লঙ্ঘনের ধরন অনুসারে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সবোর্চ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ এর ১০ মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে এই জরিমানা করা হয়। এ সময় ২৩টি এয়ারলাইন্সকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।

ডিসেম্বর মাসে ৩৬ টি মামলায় ১৭ লাখ ৬ হাজার টাকা, জানুয়ারিতে ৩৬টি মামলায় ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১০টি মামলায় এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মার্চ মাসে ৫টা মামলা হলেও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ায় কোনো জরিমানা করা হয়নি।  

একই এয়ারলাইন্সকে একাধিকবার জরিমানার ঘটনা ঘটেছে। 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল বলেন, অর্থদণ্ডের কারণে আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা কমে এসেছে। এখন হাতে গোনা দু-একটি পজিটিভ যাত্রী আসে। শুরুর দিকে আইনের তোয়াক্কা না করে এয়ারলাইন্সগুলো করোনা সনদবিহীন যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি করোনা পজিটিভ যাত্রী নিয়ে আসত। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে এই হার কমে এসেছে।

করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ ডিসেম্বর থেকে দেশে প্রবেশে পিসি আর ল্যাবে করা করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করে সিভিল অ্যাভিয়েশন। সতর্ক করার পরেও এয়ারলাইন্সগুলো আইন না মানায় ১০ ডিসেম্বর থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ।