অর্থ ও বাণিজ্য ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৫:৩৬

কেজিতে ১৭ টাকা বেড়েছে এলপিজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারো অস্থির এলপি গ্যাসের বাজার। খুচরা বাজারে গত দুই মাসে দাম বেড়েছে ৩ দফাএবার প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৭ টাকা। ফলে বিপাকে পড়েছে এলপিজির গ্রাহকরা।

আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কথা বলে দেশীয় বাজারে কয়েক গুণ বেশি দাম বাড়িয়েছে বেসরকারি কোম্পানীগুলোতাদের দাবি, গত ৬ মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে টন প্রতি দা, বেড়েছে ৩৫০ ডলার

এদিকে বিপিজি সূত্র মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে জানুয়ারি মাস থেকে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি টনে ৫৫ ডলার দাম বেড়েছে। শুধু এলপি গ্যাসই নয়, সিলিন্ডারের দামও বেড়েছে। ৫০০ টাকার খালি সিলিন্ডার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমদানিকারকরা জানান, অস্বাভাবিক ভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম বেড়েছে। গত কয়েক মাস যাবত আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড অব্যাহত রয়েছে। এতে আমদানিও কিছুটা কম হচ্ছে। জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে এলপিজি উৎপাদন হয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলপিজি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে আনা হয়। পরে এসব দেশ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এনে থাকেন।

করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে এলপিজির বাজারে চরম মন্দা শুরু হয়। রপ্তানি কমে যায়। এতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। মন্দার কারণে অনেকেই প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও লোকসানের কারণে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়া প্ল্যান্ট চালু করতে পারেনি। ফলে বিভিন্ন দেশে এলপিজির চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে বাড়েনি। তাই আমদানি ও খুচরা বাজারে এলপিজির দাম বেড়ে গেছে।

এলপিজি ব্যবসায়ী বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন হাবিব বলেন, গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টনে ৩৫০ ডলার বেড়েছে। দেশীয় বাজারেও চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বিক্রয়মূল্যের ওপর সরকার ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কারণে এলপিজির বাজারে প্রভাব পড়েছে। গরম কালে ইউরোপীয় দেশগুলোতে চাহিদা কমে যায়। এতে আগামী মার্চ মাসের পর বাজারে এলপিজির দাম আবার কমে যাবে। বাড়তি ভ্যাট আরোপের কারণে সিলিন্ডারের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে

দেশে গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ থাকায় এলপি গ্যাসের চাহিদা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবাসিকে এলপিজি ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে চাহিদাও কয়েক গুণ বেড়েছে। শহর ছাড়াও গ্রামে ব্যাপক হারে এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে।