ডেস্ক রিপোর্ট
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীদের ক্ষতিপূরণের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে থানার সামনে মানববন্ধন করেছে প্রতিবন্ধীরা। এসময় তারা ওই কাউন্সিলরের বিচার ও আত্মসাতকৃত টাকা ফেরতের দাবি জানান।
মানববন্ধন ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ‘চন্দ্রা আশার আলো’ নামে একটি প্রতিবন্ধী সমিতি করেন ১৬০ জন প্রতিবন্ধী। এসময় তারা চন্দ্রা ত্রিমোড়ে সিএনবির জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করে ওই সমিতি পরিচালনা করেন। কিন্তু চন্দ্রা ফ্লাইওভার নির্মাণের পূর্বে ভর্তুকি দেওয়ার শর্তে ওই অফিসসহ অন্যান্য স্থাপনা সেখান থেকে ভেঙে দেয়।
পরে সরকারিবিধি মোতাবেক ওই অফিসের ভর্তুকির জন্য ১ম দফায় ৪ লাখ টাকার চেক এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৩ হাজার টাকার চেক ইস্যু করা হয়। সিএনবির পক্ষ থেকে ওই চেক দুটি কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু ওই সমিতির সদস্যদের ভর্তুকির কোনো টাকা না দিয়ে পুরো টাকাটা ওই কাউন্সিলর আত্মসাৎ করেন।
প্রতিবন্ধীদের ওই টাকা ফেরত চাইলে তাদের খুন-জখমের হুমকি দেন কাউন্সিলর আবুল কাশেম। এ ঘটনায় ওই সমিতির সভাপতি শহিদুর রহমান বাদী হয়ে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেমের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়া প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে ওই কাউন্সিলর আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে শনিবার দুপরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের লতিফপুর এলাকায় কালিয়াকৈর থানার সামনে মানববন্ধন করেন শতাধিক প্রতিবন্ধী। এসময় তারা ওই কাউন্সিলরের বিচার ও আত্মসাতকৃত টাকা ফেরতের দাবি জানান।
মানববন্ধনে ‘আশার আলো প্রতিবন্ধী’ সমিতির সভাপতি শহিদুর রহমান মানববন্ধনে জানান, আমার একটি পা না থাকায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আরও ভালোভাবে চলার জন্য আমরা প্রতিবন্ধীরা মিলে মহাসড়কের পাশে একটি টিনের অফিস ঘর করেছিলাম। কিন্তু রাস্তা প্রশস্তকরণের কারণে সেই ঘরটি ভাঙা পড়ে। এর ক্ষতিপূরণ বাবদ ভর্তুকি হিসেবে দুই ধাপে ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকার দুটি চেক স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাশেমের কাছে হস্তান্তর করে সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমাদের প্রতিবন্ধীদের কোনো টাকা দেননি তিনি। আমরা ওই কাউন্সিলরের বিচার ও আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত চাই।
অভিযুক্ত স্থানীয় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে প্রমাণ দিতে পারলে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দিব।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।